জাকারবার্গের ‘একনায়কতন্ত্র’, ক্ষোভ শেয়ারধারীদের

ভুয়া সংবাদ ছড়ানো আর কেমব্রিজ অ্যানালাটিকা ডেটা কেলেঙ্কারির মতো ঘটনায় ব্যবহারকারী, সরকার আর নীতিনির্ধারকদের চাপের মুখে রয়েছেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। একের পর এক জবাবদিহিতার মধ্যে পড়ায় সময়টা তার খুব ভালো যাচ্ছে বলা যায় না। এবার যেন জাকারবার্গের গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে উঠেছেন তার নিজ প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ারধারীরা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2018, 07:46 AM
Updated : 2 June 2018, 07:46 AM

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রতিষ্ঠানে শেয়ারধারীদের ভোট দেওয়ার অধিকার বৈষম্য নিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ফেইসবুকের বার্ষিক সম্মেলন। এতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা আর অন্যান্য সংস্কার নিয়ে আনা ছয়টি প্রস্তাবে জোর দিয়ে ভোট দেন বিনিয়োগকারীরা, খবর ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-এর। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ভোট দেওয়ার অধিকারে সমতা না থাকার বদৌলতে জাকারবার্গ আর তার পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা কোনো পরিবর্তনই আনতে দেননি। তবে এই অনুষ্ঠান জাকারবার্গ ও তার পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বের সমালোচনার জন্য একট প্লাটফর্ম হয়ে ওঠে, এমনটাই বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।

সম্মেলনে  নর্থস্টার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট-এর ক্রিস্টিন জ্যান্টজ ফেইসবুকের শেয়ারয়াধারীদের ভোট দেওয়ার কাঠামো সংস্কারে আনা প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলেন।

ফেইসবুকের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শেয়ারের মালিক না হলেও ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে এমন শেয়ারের অধিকাংশেরই মালিক জাকারবার্গ। এর কারণ হচ্ছে নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের তুলনায় ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এমন শেয়ার জাকারবার্গের অধীনে ১০গুণ বেশি। জ্যান্টজ-এর মতে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির মতো সমস্যাগুলোর পেছনে এমন কাঠামো দায়ী। বিনিয়োগকারীদের নয় বরং “প্রধান নির্বাহী তার নিজের প্রয়োজন মেটাতে যখন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেন এটি তার এক শোচনীয় উদাহরণ” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরেক শেয়ারধারী জেমস ম্যাকরিচি বর্তমান ভোট দেওয়ার কাঠামোটিকে একটি “কর্পোরেট একনায়কতন্ত্র” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জাকারবার্গ, ইতিহাসের পাতা দেখুন। জর্জ ওয়াশিংটন-কে অনুসরণ করুন, ভ্লাদিমির পুতিন-কে নয়।”