মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ কাঁপানো কিশোর জেলে

এক ব্রিটিশ কিশোর হ্যাক করে ফেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা প্রধানের বাসার টেলিভিশনটি। এরপর মজা করে  টিভির স্ক্রিনে বার্তা লিখে দেন - ‘আই ওউন ইউ’।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2018, 04:21 PM
Updated : 22 April 2018, 05:10 PM

এ ছাড়াও সিআইএ এবং এফবিআই কর্মকর্তারাও ছিলেন তার হ্যাকিং নিশানায়।  

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় শুক্রবার ১৮ বছর বয়সী কেইন গ্যাম্বলকে দুই বছরের হাজতবাস দেওয়া হয়। 

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে ওই কিশোর সম্পর্কে জানা যায়, সিআইএ প্রধান জন ব্রেনান ও তার স্ত্রী, এফবিআইয়ের উপ পরিচালক মার্ক মার্ক গিলিয়ানোর মত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও ছিলেন তার হ্যাকিংয়ের লক্ষ্য। 

গ্যাম্বলের এই কীর্তি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তার অন্যান্য শিকারের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জেহ জনসন। জেহ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে কাজ করেছেন এবং তিনি ছিলেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান। এ ছাড়াও এফবিআইয়ের গোয়েন্দা কর্মকর্তা অ্যামি হেসও গ্যাম্বলের হ্যাকিংয়ের শিকার ছিলেন। 

ওল্ড বেইলি নামে পরিচিত ইংল্যান্ড ও ওয়েলস’র সেন্ট্রাল ক্রিমিনাল কোর্ট এই ঘটনার শুনানি পরিচালনা করে ২০১৫ সালে জুন থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির ভেতরে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সামরিক ও গোয়েন্দা বিভাগের ইরাক-আফগানিস্তান অপারেশনের  ‘অতি স্পর্শকাতর’ নথিগুলো হাতিয়ে নিতে ইমেইল ও ফোন অ্যাকাউন্টে অবৈধ প্রবেশ করেছিলেন গ্যাম্বল।

ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনটি গ্যাম্বল সম্পর্কে আরো জানাচ্ছে, হ্যাকিংয়ের শিকার
ব্যক্তিদের পরিচয়ে কমকাস্ট ও ভেরাইজনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর কল সেন্টারগুলোকে বোকা বানিয়ে গোপন তথ্য প্রকাশ করে দিয়েছিলেন ওই কিশোর।

গোপন তথ্য প্রকাশে উইকিলিকসসহ আরও অনেক ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছিলেন গ্যাম্বল।

এই সব ঘটনা আমলে নিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর মতো বিশাল এই সংস্থার  ‘কার্যকারিতাকে’  ক্ষতিগ্রস্ত করেছে গ্যাম্বল।

একটি কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে গ্যাম্বলকে দুই বছর থাকতে হবে। এত কিছুর পরও তার আইনজীবী দাবি করেছেন, গ্যাম্বল ‘সরল মনে’ এসব করেছেন। কারো ‘ক্ষতি’ করা তার উদ্দেশ্য ছিল না কখনই।

আইনজীবীর এই দাবির পরও বিচারক হ্যাডন-কেইভ বলেছেন, গ্যাম্বল যা করেছেন তা ছিল সাইবার সন্ত্রাসবাদের প্রচারণা।