৬০ মিটার দূর থেকেই মানুষের হৃদস্পন্দন মাপতে সক্ষম এই ড্রোন। মানবিক সংকটের সময় সহায়ক হতে পারে এই প্রযুক্তি, বলা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
এই গবেষক দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া’র জাভান চাল। ক্যামেরা ব্যবহার করে লক্ষ্য করা ব্যক্তির মাথা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিটি বিটের জন্য এক মিলিমিটারের স্পন্দন দেখাতে পারে ড্রোনটি।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন-কে চাল বলেন, “একটি দূর্যোগ মুহুর্তে আপনাকে মূলত গুরুত্ব দিতে হবে কে বেঁচে আছে, কে মারা গেছে এবং কে মারা যাচ্ছে এই বিষয়গুলোর ওপর এবং এই পরিস্থিতে একটি ড্রোন ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মানুষের সাধারণ অবস্থা নির্ণয় করতে পারে।”
চাল আরও বলেন, “এই একই সফটওয়্যার মুখ শনাক্ত করতে পারে, হৃদস্পন্দন মাপতে পারে এবং প্রতিদিন এক লাখ মানুষের জন্য এটি করা যেতে পারে।”
অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স-এর সঙ্গেই ড্রোনটি তৈরি করেছে গবেষক দলটি। মানবিক সংকটের সময় এটি ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
চাল আরও বলেন, গোয়েন্দাগিরি এবং অস্ত্রের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও ড্রোনটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
“আমরা যদি এটির ব্যবহার শুরু করি, খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েও কেউ এটি ব্যবহার করতে পারেন,” বলেন চাল।