হেনেসি ২০০৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদে আছেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
হেনেসি এর আগে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এ ছাড়াও প্রযুক্তি খাতে তার কর্মজীবন বিস্তৃত বলে উল্লেখ করা হয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে অ্যালফাবেটের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন এরিক স্মিড। সে সময় অ্যালফাবেটের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্মিড-এর জায়গায় নির্বাহী ক্ষমতা নেই এমন কোনো চেয়ারম্যান আনা হবে।
তখন এক বিবৃতিতে স্মিড বলেন, “ল্যারি, সার্গেই, সুন্দার আর আমি, আমরা সবাই বিশ্বাস করি অ্যালফাবেটের বিবর্তনে এই পরিবর্তনের জন্য এখনই সঠিক সময়।” তিনি আরও বলেন, “অ্যালফাবেটের সাংগঠনিক কাঠামো এখন ভালো কাজ করছে, গুগল আর অন্যান্য বিভাগগুলো এখন ক্রমবর্ধমান।”
নির্বাহী চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে আসলেও স্মিড অ্যালফাবেটের পরিচালনা পর্ষদ থেকে যাচ্ছেন না, প্রতিষ্ঠানটির কারিগরী উপদেষ্টা হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। নিজের বিবৃতিতে স্মিড বলেন, এখন থেকে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে’ জনহিতৈষীমূলক কাজে সময় দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
২০০১ সালে গুগলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন স্মিড। ২০১১ সালে হয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান। গুগলকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ আর সার্গেই ব্রিন-এর সঙ্গে মিলে কাজ করেছেন তিনিও।
২০১৫ সালে গুগল তাদের করপোরেট মূল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যালফাবেট গঠন করে। স্মিড তখন অ্যালফাবেটের নির্বাহী চেয়ারম্যান হন, পেইজ হন অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী, সুন্দার পিচাই-কে বানানো হয় গুগলের প্রধান নির্বাহী আর অ্যালফাবেটের প্রেসিডেন্ট হন ব্রিন।
আরও খবর-