এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এই খাত থেকে সরে আসা জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় সর্বশেষ নাম লেখাতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
এই বিক্রি হয়ে গেলে অ্যাপল, স্যামসাং আর চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্যের মোবাইল ফোন বাজারে জাপানি প্রতিষ্ঠান থাকবে আর কেবল তিনটি- সনি, শার্প আর কিয়োসেরা।
সম্ভাব্য এই ক্রয়চুক্তিতে পোলারিস ক্যাপিটাল ফুজিৎসু-এর দখলে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ের অধিকাংশ শেয়ার চলে যাবে বলে জানানো হয়েছে। এজন্য পোলারিস ক্যাপিটাল-কে গুণতে হবে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি ইয়েন, এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
ওই সূত্র জানায়, পোলারিস ক্যাপিটাল কী পরিমাণ শেয়ার কিনবে তা নিয়ে এখনও আলোচনা করা হচ্ছে। এই আলোচনার বিষয় গোপন হওয়ায় নিজের পরিচয় প্রকাশের অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই সূত্র।
চলতি মাসের শেষে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হওয়ার আশা করা হচ্ছে, এমনটা জানিয়েছে জাপানি দৈনিক নিক্কেই।
এক বিবৃতিতে ফুজিৎসু’র পক্ষ থেকে বলা হয়, এ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কী পরিমাণ শেয়ার বিক্রি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন এক প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিনিধি।
২০০০ সালের কাছাকাছি সময়ে এনইসি আর তোশিবাসহ প্রায় ১০টি বড় জাপানি প্রতিষ্ঠান মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন করত। কিন্তু মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল আর দক্ষিণ কোরীয় ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় টিকতে না পেরে অধিকাংশই এই ব্যবসা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে।
২০১৭ সালে চীনা প্রতিষ্ঠান লেনোভো ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিনিময়ে ফুজিৎসু’র পিসি ব্যবসায়ের বড় অংশ কিনতে সম্মত হয়।