উবার-এর প্রতিদ্বন্দ্বী এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনলাইনে এই অভিযোগ প্রকাশিত হয় বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, লিফট কর্মীদের নজরদারির শিকার হওয়াদের মধ্যে সাবেক দম্পতি বা যুগল আর ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ-এর মতো বিখ্যাত ব্যবহারকারীরাও রয়েছেন।
লিফট-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা এ নিয়ে তদন্ত করছে কিন্তু এখনও নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ গ্রহণ করেনি। এই অভিযোগ নিয়ে সর্বপ্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রযুক্তি সাইট ইনফরমেশন।
এই সাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, লিফট-এ কাজ করা এক ব্যক্তি ব্লাইন্ড নামের একটি পরিচয় গোপন রাখার অ্যাপ ব্যবহার করে এই অভিযোগ করেছেন। ব্লাইন্ড-এ করা পোস্টের অভিযোগ আর এর সূত্র যাচাইয়ের কোনো সুযোগ না থাকায়, পোস্টটি ‘ভুয়া’ হওয়ার বড় ‘সম্ভাবনা’ থেকে যায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্মীরা “তাদের লক্ষ্য করা ব্যবহারকারী কোথায় গিয়েছিলেন তা আসলেই বলতে পারেন কিনা আর তারা কী ‘জনপ্রিয়’ ব্যক্তিদের উপর নজরদারি চালিয়েছেন কিনা” তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে লিফট।
এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ডেটা নিরাপত্তায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছে। লিফট-এর মুখপাত্র আলেকজান্দ্রা লামানা এক ইমেইলে বলেন, “লিফট-এ যাত্রী ও চালকদের বিশ্বাস রক্ষা করা মৌলিক ভিত্তি। পোস্টে আসা অভিযোগটি লিফট-এর নীতিমালা লঙ্ঘন করে ও বহিষ্কারাদেশ দেওয়ার মতো কারণ।”
এর আগে উবারের বিরুদ্ধেও ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি চালানো ও ডেটা প্রাইভেসি লঙ্ঘন নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।