পুতিন নির্দিষ্টভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেননি। তাই তিনি দেশি নাকি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ তাদের নির্বাচনে প্রভাব ফেলার জন্য রাশিয়াকে দোষ দিয়ে আসছে।
পুতিন বলেন, “কিছু প্রতিষ্ঠান কীভাবে ইন্টারনেট বা সামাজিক মাধ্যমে কাজ করছে তা আমাদের সতর্কভাবে দেখা দরকার, তারা কতটা বিস্তৃত পরিসরে আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত তাও দেখা দরকার।”
রুশ গণমাধ্যমগুলোর উপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে জবাবে বিদেশি গণমাধ্যমগুলোকে ‘বিদেশি দালাল’ হিসেবে বিবেচনা করতে নভেম্বরে একটি আইনে সই করেন পুতিন। একবার এই বিবেচনার আওতায় চলে আসলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থ কোথা থেকে আসছে বা এ ধরনের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
পুতিন বলেন, “প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তারা কীভাবে পরিচালিত হবে আর এখন কীভাবে হচ্ছে তা সতর্ক হয়ে বিশ্লেষণ করা উচিৎ।” তবে, এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে স্বাধীনতার ‘জায়গা কমিয়ে দেওয়া’ উচিৎ নয় বলেও মত দেন তিনি।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লাইব্রেরি আর ভয়েস অফ আমেরিকা-কে ‘বিদেশি দালাল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।