তিন বছরের মধ্যে এই ব্যবস্থা তৈরি ও চালু করা হবে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
গবেষকরা বলেন, এই ব্যবস্থা চীনে হাইপারসনিক অস্ত্র উন্নয়নের গতি বাড়াবে। আর হাইপারসনিক আকাশযান চালু হলে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে ব্যর্থতার ঝুঁকিও কমবে।
বায়ু সুড়ঙ্গটিতে একটি পরীক্ষামূলক খোপ রাখা হবে যাতে আকাশযানের মডেল রাখা যাবে। এই যানগুলোর পাখার আকার হবে প্রায় তিন মিটার, বলা হয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর প্রতিবেদনে।
সেকেন্ডে ১২ কিলোমিটার গতিতে হাইপারসনিক ফ্লাইট পরীক্ষা করা হবে বায়ু সুড়ঙ্গটিতে। এই বেগে কোনো অস্ত্র চীন থেকে ১৪ মিনিটের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে আঘাত করতে পারবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত জেষ্ঠ্য বিজ্ঞানী ঝাও ওয়েই বলেন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেনের মিশ্র গ্যাসের কয়েকটি টিউবে বিস্ফোরণ ঘটাবেন গবেষকরা। এতে যে ধাক্কা তৈরি হবে তা ধাতব টিউবের মাধ্যমে পরীক্ষার খোপে পাঠানো হবে।
এই প্রতিক্রিয়ার ফলে উচ্চ গতির বায়ুপ্রবাহ এবং প্রচণ্ড তাপ তৈরি হবে। পরীক্ষামূলক আকাশযান ৭৭২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ সহনশীল হবে বলে জানানো হয়েছে।
ওয়েই বলেন, “এটি হাইপারসনিক প্রযুক্তির প্রকৌশল ব্যবস্থার গতি বাড়াবে। প্রচণ্ড মাত্রার হাইপারসনিক ফ্লাইটের পরিবেশ প্রতিরূপ বানিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর জন্য এটি পরীক্ষা করা হবে। ফলে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং সেগুলো এখানেই সমাধান করা যেতে পারে।”
২০২০ সালের মধ্যে এই সুড়ঙ্গ চালু হবে বলে আশাবাদী গবেষকরা।