বিষয়টিকে বৈরি ঝড়ের সাথে তুলনা করে ব্যাপারটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার পরামর্শ দেন এই প্রযুক্তিবিদ।
ওয়েবের জনক এই গবেষক সবসময়ই বলে এসেছেন ওয়েব মানব সভ্যতারই প্রতিফলন করবে, সেটা ভালো, মন্দ বা জঘন্য যাই হোক না কেন।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বানানো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এই মূল ধারণা থেকে ক্রমশ সরে আসছে। নিত্যনতুন অ্যালগরিদমের মাধ্যমে ওয়েব সিস্টেম পরিবর্তন করা হচ্ছে যার ফলে এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রাহকের কাছে থাকছেনা।
“ওয়েব জগতে বর্তমানে শক্তিশালী আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্স (এ আই)-এর মাধ্যমে গ্রাহককে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে,” বলেন ব্রিটিশ এই প্রযুক্তিবিদ।
“আমি এখনও আশাবাদী। কিন্তু এমন এক আশাবাদী যে দাঁড়িয়ে আছে এক পাহাড় চূড়ায় আর সামনে ধেয়ে আসছে এক জঘন্য ঝড় আর আমার সহায় স্রেফ একটি বেড়া।”
“আমাদের ওই আশ্রয়টুকুই আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে আর কখনও এমন নিশ্চয়তা নিয়ে বসে থাকা যাবে না যে ওয়েব আপনাআপনি ভালো পথে, কল্যাণকর পথে চলতে থকবে।”
গুগলসহ অন্যান্য টেক জায়ান্টদের বিজ্ঞাপন পলিসির দিকে ইঙ্গিত করে এর ক্ষতিকারক দিক নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।
“বিজ্ঞাপন থেকে মুনাফা অর্জনের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা কোনোভাবেই সাধারণ মানুষদের জন্য মঙ্গলকর নয়।”
এ ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কীভাবে মানুষের চিন্তা ভাবনা প্রভাবিত করা হচ্ছে তা নিয়েও বলেন তিনি।
নেট নিউট্রালিটির পক্ষে সবসময় সরব বার্নারস লি জিনিসটি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। তার মতে ওয়েব জগতে গ্রাহক কী দেখবেন বা কী দেখবেন না তা ইন্টারনেটের সার্ভিস প্রভাইডার (আইএসপি)-এর ইচ্ছা নির্ভর না হয়ে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারকারীর উপর ছেড়ে দেয়া উচিত।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ওয়েব ও কানেক্টিভিটি অনেকটা গ্যাস কিংবা পানির মতো হওয়া উচিত। এটা জীবনের অংশ এবং গ্রাহক তা কীভাবে ব্যবহার করবেন তা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”