ডরসি বলেন, সামাজিক মাধ্যমটি এ ধরনের টুইট স্বয়ংক্রিওয়ভাবে মুছে দেবে এমনটা আশা করা বাস্তবনিক নয়।
চলতি বছর অক্টোবরে জাপানের জামা এলাকায় ২৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার ফ্ল্যাটে নয় জন মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। তাকে সংবাদপত্রগুলো ‘টুইটার কিলার’ আখ্যা দেয় বলে বিবিসি;র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাপানের স্থানীয় প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, তাকাহিরো শিরাইশি নামের ওই ব্যক্তির খুনের শিকার হওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সীর বয়স ছিল ১৫ বছর। সামাজিক মাধ্যমে ওই কিশোরকে শিরাইশি বলেন তিনি তাকে মারা যেতে সহায়তা করতে পারবেন। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার তিনি বলেছেন আগ্রহী ব্যক্তির সঙ্গে তিনি নিজেকেও হত্যা করবেন।
তার টুইটার প্রোফাইলে বলা আছে, “আমি আসলেই যন্ত্রণায় আছে এমন লোকদের সহায়তা করতে চাই। অনুগ্রহ করে যে কোনো সময় আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।”
তিনি এক নারীর প্রেমিককেও খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খুন হওয়া ওই ব্যক্তি ওই নারীকে খুঁজতে এসেছিলেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনের সূত্রমতে, শিরাইশি পুলিশের কাছে তার এ ধরনের কাজের কথা স্বীকার করেছেন। তবে, এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে শুধু একটি খুনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
তাকে আটকের চারদিন পর টুইটার তাদের নীতিমালা সংশোধন করে ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে বলে, “আত্মহত্যা বা নিজেকে ক্ষতি করার মতো কোনো ধরনের প্রচারণামূলক” পোস্ট দেওয়া উচিৎ নয়।
এই মামলা নিয়ে আলোচনা শুরুর পর জাপান সরকার জানিয়েছে, তারা নতুন নীতিমালা আনতে পারে। এই নীতিমালা আত্মহত্যা বিষয়ে আলোচনা করা হয় এমন ‘সমস্যাযুক্ত’ ওয়েবসাইটগুলো ঠেকাতে ব্যবহৃত হবে।
এ বিষয়ে জাপানি গণমাধ্যম এনএইচকে-এর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডরসি বলেন, “আমাদের মাধ্যমটি ইতিবাচক ও উপকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে- এমনটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের নেওয়া উচিৎ।”