চীনের হাতে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত পারফরম্যান্সের এই কম্পিউটার রয়েছে ২০২টি- সবচেয়ে ক্ষমতাধর কম্পিউটার ব্যবস্থা নিয়ে র্যাংকিং প্রকাশকারী সাইট টপ৫০০-এর সর্বশেষ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বর্তমানে সুপারকম্পিউটার আছে ১৪৩টি।
২৫ বছর আগে প্রথম এই জরিপ করা হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি দুই বছর পরপর এটি করা হচ্ছে। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় থাকা সুপারকম্পিউটারের সংখ্যা অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার সবচেয়ে কম হলেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটি, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
এ তালিকায় ৩৫টি সুপারকম্পিউটার নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে জাপান আর ২০টি নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে জার্মানি।
এর আগে জুনে প্রকাশিত আরেকটি জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা সুপারকম্পিউটারের সংখ্যা ছিল ১৬৯টি আর চীনের ১৬০টি।
কীভাবে এতোটা এগুলো চীন? সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাতে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে হওয়া মোট বিনিয়োগের প্রায় ২০ শতাংশই চীনের করা।
সুপারকম্পিউটারের পারফরম্যান্স পেটাফ্লপস-এ হিসাব করা হয়। এক পেটাফ্লপ বলতে এক সেকেন্ডে এক হাজার ট্রিলিয়ন ফ্লোটিং পয়েন্ট অপারেশন সম্পন্ন করাকে বোঝায়। একটি ফ্লপ বা ফ্লোটিং পয়েন্ট অপারেশন-কে হিসাবের একটি ধাপ হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
চীনের সবচেয়ে দ্রুত সুপারকম্পিউটার তাউহুলাইট এখনও গতির ক্ষেত্রে সারাবিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এর পারফরম্যান্সের হার ৯৩ পেটাফ্লপস। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দ্রুত সুপারকম্পিউটার টাইটান সারাবিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এর পারফরম্যান্সের হার ১৭.৬ পেটাফ্লপস।
মোট পারফরম্যান্সের দিক থেকেও চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জরিপের গবেষকরা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, তালিকায় থাকা সুপারকম্পিউটারগুলোর মোট প্রসেসিং ক্ষমতার ৩৫.৭ শতাংশ চীনের হাতে আর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে হারটা ২৯.৬ শতাংশ।