২০১৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলোতে আইন অনুযায়ী বয়স যাচাইয়ের ব্যবস্থা ইনস্টল করতে হবে। শিশুদের জন্য ইন্টারনেট সুরক্ষিত করতেই এ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দেশটি, বলা হয়েছে বিবিসি-এর প্রতিবেদনে।
নতুন আইনের ব্যাপারে শীঘ্রই ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।
আইন অনুযায়ী পর্ন সাইটগুলোকে গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়া লাগতে পারে, যেমনটা জুয়ার ওয়েবসাইটগুলোতে দেওয়া হয়।
যে প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল ইকোনমি অ্যাক্ট-এর নিয়ম ভঙ্গ করবে তাদেরকে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ব্লক করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী যে সব প্রতিষ্ঠান পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলোতে লেনদেন এবং অন্যান্য সেবা দিচ্ছে তাদেরকে যে কোনো ধরনের আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে জানানো হবে।
নতুন আইন তদারক ও বাস্তবায়ন করতে একটি নীতি নির্ধারক কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দেশটির ডিজিটাল মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক আনুষ্ঠানিকভাবে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করবেন। ডেভিড ক্যামেরন সরকারপ্রধান থাকাকালীন ২০১৬ সালে এটি প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তীতে হাউজ অফ কমন্স-এ এটির লিখিত বিবৃতি দেওয়া হয়।
হ্যানকক বলেন, “এসবের মানে হল আমরা যখন ইন্টারনেটের স্বাধীনতা উপভোগ করছি তখন বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে শিশু সুরক্ষায় মুজবুত আইন রয়েছে।”
২০১৬ সালে এনএসপিসিসি-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয় অনলাইন পর্নোগ্রাফি শিশুর বৃদ্ধি ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ করে। জরিপে দেখা গেছে ১৫ থেকে ১৬ বছরের ৬৫ শতাংশ এবং ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সের ৪৮ শতাংশ শিশু পর্ন দেখে থাকে।
জরিপে আরও দেখা গেছে ২৮ শতাংশ শিশু ওয়েব ব্রাউজ করার সময় ভুল করে পর্ন সাইটে চলে গেছে। আর ১৯ শতাংশ নিজে থেকেই পর্নোগ্রাফির খোঁজ করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।