সাইবার হামলা, রাশিয়াকে দুষছে ইউক্রেইন

সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো সাইবার হামলায় রুশ নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জড়িত ছিল আর এর প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেইন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2017, 11:23 AM
Updated : 2 July 2017, 11:23 AM

ইউক্রেইনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দেশটির রাজধানী কিয়েভ-এ চালানো এক সাইবার হামলার সংশ্লিষ্ট ডেটা তাদের কাছে রয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার চালানো হামলা সবার আগে ইউক্রেইনিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলোই সবার আগে শনাক্ত করে, এরপর হামলায় ব্যবহৃত ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী আইটি সিস্টেমগুলোকে বিপর্যস্ত করে দেয়, বিকল করে দেয় কম্পিউটারগুলো। আক্রমণ চালানোর পর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করে, যা শনাক্ত করা যায় না।

ইউক্রেইনের আঙ্গুল রাশিয়ার দিকে তোলা হয়েছে, তবে এই আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি তারাও। আক্রান্ত হয়েছে কয়েকটি বড় রুশ প্রতিষ্ঠানও, এ কারণে কয়েকজন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকের মতে এই হামলার পেছনে মস্কো দায়ী নয়।

শনিবার এসবিউ’র পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অ্যান্টি-ভাইরাস প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাওয়া ডেটা থেকে প্রমাণিত হয় এর সঙ্গে আগের কথিত ‘পেটইয়া’ ভাইরাস দিয়ে চালানো সাইবার হামলার সংযোগ রয়েছে, যে হামলায় কোনো মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি। এসবিইউ’র মতে, সাম্প্রতিক হামলায় মুক্তিপণ চাওয়াটা ছিল মূল ঘটনা ঢেকে রাখার ফন্দি। সংস্থাটির দাবি, ইউক্রেইনের রাষ্ট্রীয় ও অসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা বন্ধ করে দিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করাই ছিল এই হামলার লক্ষ্য। 

মুক্তিপণ পরিশোধে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে বাস্তব কৌশলের অভাব থাকায় এমন ধারণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এসবিইউ। 

সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে ইউক্রেইন বাজভাবেই আক্রান্ত হয়েছে। একদিনের বেশি সময়ের মধ্যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কাজ ব্যহত হওয়া নিয়ে দেশটির পুলিশ প্রায় এক হাজার বার্তা পেয়েছে। মোট দেড়শ’টি প্রতিষ্ঠান পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে।

ডিসেম্বরে দেশটির আর্থিক, যোগাযোগ ও শক্তি ব্যবস্থাগুলো সাইবার হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় কিয়েভে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত হয়েছে।