সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগল, ফেইসবুক, অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফট-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই চিঠিতে সাক্ষর করেছে। মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বাইরের দেশের ওপর বিতর্কিত নজরদারি প্রোগ্রামে পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
দেশটির ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভেইলেন্স অ্যাক্ট-এর সেকশন ৭০২ অনুযায়ী, এনএসএ-কে মার্কিন নাগরিক নন এমন ব্যক্তির ইমেইল এবং ফোন কল ট্র্যাক করার অনুমতি দেওয়া হয়। এখানে মার্কিন নাগরিকদেরকেও অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
২০১৩ সালে এডওয়ার্ড স্নোডেন এনএসএ-এর তথ্য ফাঁসের পর প্রথম বিষয়টি সামনে আসে। প্রক্রিয়াটি পুনর্গঠন করতে যাচ্ছে কংগ্রেস। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই সেকশন ৭০২ নবায়ন করতে ভোট নিতে হবে তাদের। বছর শেষ হওয়ার আগে তা করা না হলে মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে সেকশনটির।
হাউস জুডিশিয়ারি কমিটি-এর চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। আরও বেশি স্বচ্ছতা এবং গোপনীয়তা রক্ষার্থে এতে কিছু পরিবর্তন আনতে অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে।
চিঠিতে বলা হয়, “প্রোগ্রামটির যেকোনো নবায়নের ক্ষেত্রে ভিনদেশীদের তথ্য জোগারের সম্ভাবনা কমাতে হবে যাদের ওপর সন্দেহ নেই।”
চিঠিতে সই করা সিসিআইএ-এর প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী এড ব্ল্যাক বলেন, “প্রোগ্রামটি নবায়ন করার শেষ সময় হওয়ায় এ নিয়ে প্রশ্ন করার এটিই সঠিক সময় যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষায় সামঞ্জস্য বজায় থাকে।”
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর এই চিঠি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের বিরোধের নতুন কারণ হতে পারে বলেও ধারণা করছেন অনেকে। ইতোমধ্যেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও হিজড়াদের রক্ষার্থে আইনী লড়াইয়ে গিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সাম্প্রতিক সময়ে নেট নিরপেক্ষতা নিয়ে লড়াইয়ে নামতেও প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।