বুধবার মার্কিন সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির এক সভায় রিপাবলিকান সিনেটর বেন স্যাসি প্রশ্ন করেন এফবিআই প্রধানকে- কেন মার্কিন নাগরিকরা উইকিলিকস-কে একটি স্বতন্ত্র সংবাদ উৎস হিসেবে বিবেচনা করবেন না। তার ওই প্রশ্নের জবাবে জেমস কমে বলে বসেন- "আমরা যদিও প্রথম সংশোধনীর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু উইকিলিকস স্পষ্টতই সীমা লঙ্ঘন করে যখন এটি স্পর্শকাতর তথ্য এবং সেসব তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া প্রকাশ করে 'ইন্টেলিজেন্স পর্ন' হিসেবে হাজির হয় এবং যার লক্ষ্য আমেরিকার ক্ষতি করা।"
উইকিলিকস-কে গোয়েন্দাজগতের পর্ন হিসেবে আখ্যায়িত করার পরপরই একের পর এক আক্রমণের শিকার হতে থাকেন কমে।
সাংবাদিক, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কেভিন গোস্তোলা টুইট করেন- উইকিলিকস যদি ইন্টারনেট পর্ন হয়ে থাকে তবে কমে-এর কথা ধরেই বলা চলে সেই পর্নের নির্মাতা হলো সরকারি সংস্থাগুলো।" গোস্তোলার তৈরি প্রামাণ্যচিত্রের বিষয়তালিকায় উইকিলিকসও আছে।
মানবাধিকার কর্মী, অভিনেত্রী ও ইউনিসেফ শুভেচ্ছা দূত মিয়া ফ্যারো টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন জেমস কমে'র সংজ্ঞায়নকে।
শেষ পর্যন্ত বোমাটি ফাটিয়েছেন কিম ডটকম। মেগাআপলোড প্রতিষ্ঠাতা প্রশ্ন তুলেছেন, উইকিলিকস যদি ইন্টারনেট পর্ন হয়েই থাকে তবে কি এফবিআই, সিআইএ এবং এনএসএর পশ্চাৎদ্বারে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রবিষ্ট হওয়া তারা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিচ্ছেন? কিম তার টুইটে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে উল্লেখ করেন 'জুলিয়ান অ্যাস-এঞ্জেল' নামে।
প্রসঙ্গত, উইকিলিকস মুখপাত্র জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও মেগাআপলোড প্রতিষ্ঠাতা কিম ডটকম দুজনেই মার্কিন প্রশাসনের চক্ষুশুল হয়ে আছেন। অ্যাসাঞ্জ মার্কিন সরকারের মানবাধিকার বিরোধী দলিল দস্তাবেজ প্রকাশ করে দিয়ে এবং কিম ডটকম তার মেগা আপলোড সাইটটি মার্কিন কপিরাইট আইনকে কাঁচকলা দেখিয়ে যাবতীয় পাইরেটেড কনটেন্ট শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড় করানোয়।
জুলিয়ান এবং কিম, দু'জনকেই মার্কিন সরকার বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।