স্প্যানিশ ন্যাশনাল পুলিশ, ইউরোপোল আর ইন্টারপোল-এর নেওয়া পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে ইউরোপ আর দক্ষিণ আমেরিকায় মোট ৩৯ জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে- বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
২০১৬ সালে স্প্যানিশ তদন্তকারীরা কিছু ডার্ক ওয়েবসাইটের সন্ধান পান, এই ওয়েবসাইটইগুলো ব্যবহারকারীদের সরাসরি প্রাইভেট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেয়। এই গ্রুপগুলো অবৈধ ছবি শেয়ারে ব্যবহৃত হত বলে পরবর্তী নিশ্চিত হন গবেষকরা।
এই আটকগুলোর সময় বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে “শিশু যৌনতাপূর্ণ কয়েক টেরাবাইট কনটেন্ট রয়েছে এমন কয়েকশ’ ডিভাইস” জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে ইউরোপোল। এর মধ্যে ৩.৬০ লাখেরও বেশি নথি রয়েছে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ পুলিশ।
‘অপারেশন ট্যানটালিও’ নামের এই অভিযানের আওতায় জার্মানি, স্পেন, পর্তুগাল ও সেইসঙ্গে আর্জেন্টিনা, চিলি আর ইকুয়েডরসহ বিভিন্ন দক্ষিণ আমেরিকান দেশে কার্যক্রম চালানো হয়।
ইন্টারপোল জানিয়েছে, এই অভিযানে পাওয়া “কয়েকশ” ছবি ও ভিডিও আন্তর্জাতিক শিশু যৌনপীড়ন (আইসিএসই) ডেটাবেইস-এ রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে তদন্তকারীরা এই ধরনের কনটেন্টগুলোর মধ্যে তুলনা করার ও “ডিজিটাল, ভিজুয়াল ও অডিও কনটেন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ, নির্যাতনকারী এবং স্থানের মধ্যে সংযোগ তৈরির সুযোগ পান। বর্তমানে পুলিশ ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইউরোপোল পরিচালক রব ওয়েইনরাইট বলেন, “আইন-শৃংখলাবাহিনীর কাছে ধরা পড়া এড়াতে এই অপরাধীরা আধুনিক প্রযুক্তির সীমা অতিক্রমের চেষ্টা করছে। স্প্যানিশ পুলিশের নেতৃত্বে পরিচালিত এই মামলা বিশ্বের আইন-শৃংখলাবাহিনীগুলোর মধ্যকার সহযোগিতার চমৎকার উদাহরণ।”
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক-এর মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-এর এক মুখপাত্র বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপে শিশুপীড়নের কোনো জায়গা নেই।”