৩ডি প্রিন্টিংয়ে বোয়িং প্লেন

প্লেনের কাঠামো তৈরির জন্য নরওয়ের ৩ডি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান নর্সক টাইটেনিয়াম এএস-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে মার্কিন প্লেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2017, 01:20 PM
Updated : 11 April 2017, 01:20 PM

রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনার প্লেনের টাইটেনিয়াম অংশগুলো তৈরি করা হলে প্রতিটি প্লেন তৈরির খরচ ২০ থেকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার কমে যাবে।

সোমবার নর্সক-এর সঙ্গে চুক্তির কথা প্রকাশ করে বোয়িং। প্রতিষ্ঠানের ৭৮৭ প্লেন তৈরি করে লাভের অংক বাড়াতে এটিকে প্রতিষ্ঠানের একটি বড় উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ৩ডি প্রিন্টেড ধাতব যন্ত্রাংশ যে মজবুত সেটিরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এই চুক্তির মাধ্যমে।

প্রতিষ্ঠানের এক সূত্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, মজবুত কিন্তু হালকা ওজনের টাইটেনিয়াম অ্যালয় অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ে সাত গুণ দামী। প্রতিটি ড্রিমলাইনার প্লেন তৈরিতে যে ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয় তার মধ্যে ১৭ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় টাইটেনিয়ামে। ৭৮৭-এর টাইটেনিয়ামের খরচ কমাতে চাচ্ছে বোয়িং একথাও জানান তিনি।

টেলিফোনে এক সাক্ষাৎকারে নর্সক টাইটেনিয়াম-এর বিপনণ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট চিপ ইয়েটস বলেন, “এর মানে ২০১৮ সাল থেকে আরও বেশি যন্ত্রাংশ প্রিন্ট করা শুরু হলে প্রতিটি ড্রিমলাইনার-এ অন্তত ২০ থেকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ কমবে।”

সাধারণত বছরে ১৪৪টি ড্রিমলাইনার তৈরি করে বোয়িং। এক বছরেরও আগে থেকে নর্সক-এর সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সময়ে ৭৮৭-এর জন্য চারটি অংশ নকশা করা এবং বোয়িংয়ের জন্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর সনদপত্র আনার কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, জানান ইয়েটস।

মার্কিন নীতি নির্ধারক সংস্থাটি আগের বছর তাদের তৈরি চারটি ধাতব অংশের অনুমোদন দেবে বলে আশাবাদী নর্সক। এর মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার দরজা উন্মোচন হবে বলে মনে করেন ইয়েটস। এতে নর্সক প্রতিটি ড্রিমলাইনার-এর জন্য হাজারো অংশ প্রিন্ট করতে পারবে বলে জানান তিনি।

প্রাথমিকভাবে নরওয়ে-তে প্রিন্টিংয়ের কাজ করবে নর্সক। তবে, বছর শেষে নিউ ইয়র্কের প্ল্যাটসবার্গ-এ ৬৪ হাজার বর্গফুটের কারখানায় নয়টি প্রিন্টার চালু করার লক্ষ্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।