ডালাসের ১৫৬টি সাইরেন সাধারণত টর্নেডো আর অন্যান্য বিপজ্জনক আবহাওয়া পরিস্থিতিতে মানুষদের সতর্ক করতে বাজানো হয়। কিন্তু স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১:৪২ মিনিটে সবগুলো সাইরেন বেজে উঠে। শনিবার রাত ১:১৭ মিনিট পর্যন্ত তা বাজতে থাকে, এরপর প্রকৌশলীরা ম্যানুয়ালি সাইরেনগুলোর রেডিও ব্যবস্থা বন্ধ করেন বলে জানিয়েছে শহরের জরুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক রকি ভাজ।
তিনি বলেন, “এই ক্ষেত্রে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, বাইরের কেউ আমাদের এই ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করে ও আমাদের সবগুলো সাইরেন চালু করে দেয়।”
এমন অধিকাংশ হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে একটি বা দুটি সাইরেন চালু হলেও, এবার একসঙ্গে ১৫৬টি সাইরেন চালু হয়। আর এ কারণে বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই ঘটনাকে জরুরী সাইরেন ব্যবস্থায় আঘাত হানার সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ভাজ, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। “এটি খুব, খুবই দুর্লভ ঘটনা”-মন্তব্য তার।
প্রকৌশলীরা এই ব্যবস্থা পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছেন, রোববারের মধ্যে তা আবার আগের অবস্থায় চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। যতক্ষণ না সাইরেনগুলো চালু হবে তার আগ পর্যন্ত ডালাসের অধীবাসীরা স্থানীয় গণমাধ্যম, জরুরী ৯১১ ফোন কল আর একটি ফেডারেল রেডিও সতর্ক ব্যবস্থার উপর নির্ভর করবেন বলেও জানান তিনি।
ভাজ আরও জানান, হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি নিয়ে সতর্ক ব্যবস্থার প্রকৌশলীরা আর ফেডারেল কমিউনিকেশন (এফসিসি) তদন্ত চালাচ্ছে, তবে এখনও পুলিশ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়নি।
এই মিথ্যা সাইরেনের কারণে টুইটারে অনেক অধিবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী তার টুইটে বলেন, “এখন আমি আর কখনও কোনো সাইরেন বিশ্বাস করব না।”