টুইট করে ক্ষমা চাইল বিবিসি

“ব্লাসফেমি’র জন্য সঠিক শাস্তি কী হতে পারে?”- ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এশিয়ান নেটওয়ার্ক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া হয় এই পোস্ট। পরে তা নিয়ে বিবিসি এশিয়া’র পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2017, 01:51 PM
Updated : 19 March 2017, 01:51 PM

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তানে উপস্থাপক শাজিয়া আওয়ান-এর সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে ‘ব্লাসফেমি’ নিয়ে একটি বিতর্ক প্রচারণার উদ্দেশ্যে এই টুইট করা হয়েছিল। পরে তা ভাইরাল হয়ে যায় আর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার জন্ম দেয়। এরই প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমটির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়।

শনিবার এ নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার সময় সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ব্লাসফেমির জন্য শাস্তি পাওয়াই উচিত এমনটা বোঝানোর উদ্দেশ্যে তারা ওই পোস্ট দেননি। সেইসঙ্গে শুক্রবারের ওই টুইটে খুবই বাজে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে বলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বলে, “আমরা কখনও ব্লাসফেমির শাস্তি হওয়া উচিত এমনটা বোঝানোর উদ্দেশ্যে টুইট করিনি।”

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের দ্বারা অধার্মিক কথাবার্তা বা ধর্মনিন্দা ছড়ানো বন্ধ করতে ফেইসবুকের সহায়তা চেয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটিতে একটি দল পাঠাতে রাজী হয়েছে ফেইসবুক। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় কন্টেন্টের ওপর পাকিস্তানের যে সীমাবদ্ধতা আছে তা জানবে দলটি। অধার্মিক আচরণকে পাকিস্তানে খুবই স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অধার্মিক আচরণের জন্য দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান পর্যন্ত রয়েছে।

বিবিসি’র ওই টুইট সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভের জন্ম দেয় বলে জানিয়েছে আইএএনএস। মানবাধিকার প্রচারণাকর্মী ম্যারিয়াম নামাজি এই টুইটকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ম্যালকম উড নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী বলেন, “আমরা বিবিসি’র এশিয়ান নেটওয়ার্ক-কে জানাতে পারি যে ব্লাসফেমি’র কোনো শাস্তি থাকা উচিত নয়। আমরা মধ্যযুগে বসবাস করছি না।”