২০১৬ সালে আমেরিকান সিভিল রাইটস লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এক প্রতিবেদনে জানায় পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলকারীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে ডেটা আর ব্যবহারকারীদের অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করছে। এই প্রতিবেদনের পর ফেইসবুক, এর মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম আর প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার প্রাইভেসি সমর্থকদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে, জানিয়েছে রয়টার্স।
এসিএলইউ-এর প্রতিবেদনে সাড়া দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো শিকাগোভিত্তিক ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জিওফিডিয়া’র ডেটা অ্যাকসেস বন্ধ করে দেয়।
ফেইসবুকের প্রাইভেসিবিষয়ক উপপ্রধান কর্মকর্তা রব শেরম্যান সোমবার ফেইসবুকে এক পোস্টে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের নীতিমালা স্পষ্ট করা। তাৎক্ষণিকভাবে সাক্ষাৎকারের জন্য তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তিনি বলেন, এই পরিবর্তন “মানুষ তাদের কথা শুনাতে নিরাপদ বোধ করবে এমন একটি সম্প্রদায়” তৈরিতে সহায়তা করবে।
সোমবার তাৎক্ষণিকভাবে জিওফিডিয়া’র কোনো প্রতিনিধিকে মন্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ শতাধিক আইন-শৃংখলা প্রণয়নকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছে বলে জানায় এসিএলইউ।
২০১৬ সালের অক্টোবরে জিওফিডিয়া প্রধান নির্বাহী ফিল হ্যারিস জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান প্রাইভেসি বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ আর তারা নাগরিক অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন।
টুইটার ও ইউটিউবসহ বড় সামাজিক মাধ্যমগুলোও ফেইসবুকের পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছে বলে জানান নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় এসিএলইউ’র প্রযুক্তি ও নাগরিক অধিকার নীতিমালা পরিচালক নিকোল ওজার। তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও এ ধরনের ডেটা ব্যবহার তাদের আরও আগেই বন্ধ করা উচিত ছিল বলে জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নীতিমালা কীভাবে প্রণয়ন করবে তা অস্পষ্ট বলে জানিয়েছেন সরকারের নজরদাড়ির জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের বিরোধিতা করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মিডিয়া-এর নির্বাহী পরিচালক মালকিয়া সাইরিল।