টিন্ডার-এ নারীকে গালি, ব্যক্তি নিষিদ্ধ

এক নারীর প্রতি বর্ণবাদি আচরণ করায় ওই ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ করেছে অনলাইন ডেটিং সাইট টিন্ডার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2017, 01:08 PM
Updated : 4 March 2017, 01:08 PM

চলতি সপ্তাহে ওই লোকের পাঠানো টেক্সট মেসেজের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। মেসেজগুলোতে দেখা যায়, ওই এশীয় নারী কোনো সাড়া না দিতে থাকলে এক পর্যায়ে লোকটি মেজাজ হারান ও বর্ণবাদী একটি শব্দ বলে তাকে অপমান করেন। তিনি ওই নারীকে বলেন, “এরপর আরও কখনও তোমার নাম্বার দিও না।” এই কথার শেষে ওই নারীকে ‘নির্বোধ’ বলেন ও বাজে ভাষায় গালি দেন।

এই মেসেজগুলো ফেইসবুকে পোস্ট করা হলে, অন্যান্য নারীরাও একই লোকের কাছ থেকে এমন ব্যবহার পাওয়ার কথা জানান। এরই প্রেক্ষিতে, বুধবার টিন্ডার-এর পক্ষ থেকে ওই লোককে একটি খোলা চিঠি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে চিঠিটি ওই লোকের মতো আচরণ করেন এমন সবার উদ্দেশ্যে বলেও জানায়। এই চিঠিতে টিন্ডার-এর যোগাযোগ ও ব্র্যান্ডবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজেটস পাম্বাকিয়ান বলেন, “আপনি যা বলেছেন তা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুদ্ধ। ওই নারীর প্রতি আপনার বলা কথাগুলো এক প্রকার লাঞ্ছনা ছিল- শুধু তার জন্যই নয়, আমাদের সবার জন্য। প্রতিদিন আমরা আমাদের এই ভার্চুয়াল সমাজ থেকে আপনার মতো বাজে আচরণকারীদের সরিয়ে দিয়ে কাজ করি। একজন মানুষ কেন দুনিয়ায় মিশতে গিয়ে ঘৃণা ছড়াবে আমি কখনোই তা বুঝে উঠে পারব না। ঘৃণা কোনো পন্থা নয়, আর আমরা যখনই এর কুৎসিত চেহারা দেখতে পাব এর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখব।”

এর আগে টিন্ডার অনেক ব্যবহারকারীকে হয়রানি বা নিপীড়নের কারণে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু কোনো একজন ব্যবহারকারীকে উদ্দেশ্য করে প্রতিষ্ঠানটির ব্লগপোস্ট দেওয়ার নজির এবারই প্রথম বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিকটি।

পাম্বাকিয়ান বলেন, “আমরা আমাদের প্লাটফর্মে কোনো নিপীড়ন সহ্য করি না- এ বিষয়ে টিন্ডার একটি জোর ও স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে চেয়েছে।”

“এ ধরনের আচরণের প্রতিবাদ জানানো সবাইকে আমরা উৎসাহ দেই”, যোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তি শিক্ষা পাবেন ও ভবিষ্যতে এমন আচরণ করা থেকে বিরত থাকবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার এক লোক টিন্ডার-এ এক নারীকে বর্ণবাদী বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এমন অন্যান্য হয়রানির ঘটনাগুলোয় প্রতিষ্ঠানটি কেন এভাবে কথা বলেনি তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে জিজ্ঞাসা করেছে দৈনিকটি। কিন্তু এ নিয়ে অনুরোধেও টিন্ডার-এর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি, বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।