এদিকে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়ে কালানিক অ্যাপভিত্তিক যাত্রী সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটিকে সমালোচনার মুখে ফেলেছেন- এমনটা বলা হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে।
অভিবাসীদের নিষেধাজ্ঞায় ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশের ফলে উবারের হাজারো চালক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন কালানিক। সামনের তিন মাস বাড়ি ফিরতে পারবেন না ও কোনো কাজ করতে পারবেন না এমন চালকদের ‘প্রো বোনো’ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ‘প্রো বোনো’ বলতে কাউকে বিনামূল্যে কোনো কাজ করে দেওয়াকে বোঝায়।
কালানিক জানান আইনিভাবে মার্কিন অধিবাসী এমন কর্মীরা যদি সামনের তিন মাসে দেশের বাইরে যেতে চান তবে তারা এই আদেশে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
এই বিষয়টি সরাসরি ট্রাম্পের সামনে তোলা হবে বলেও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। কালানিক বলেন, “প্রতিটি সরকারেরই যখন তাদের নিজস্ব অভিবাসী নিয়ন্ত্রণ আছে, তখন বিশ্বের সব জায়গার মানুষদের এখানে আসতে ও আমেরিকাকে নিজেদের দেশ বানাতে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই সুযোগ দিয়ে আসছে। এর মানে হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা অনেক নির্দোষ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে- এটি এমন একটি বিষয় যা আসছে শুক্রবার আমি যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম ব্যবসায় উপদেষ্টা দলের বৈঠক হবে তখন তুলে ধরব।”
ট্রাম্পের ব্যবসায় কাউন্সিল-এ নিজের পদ থাকার বিষয়েও তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সাইটটি। উবার প্রধান জানান, তিনি বিশ্বাস করেন বিশ্বের সব জায়গার ও
সেখানকার অধিবাসীদের উপর প্রভাব রাখে এমন নীতিমালায় যুক্ত থাকা ও কথা বলতে “টেবিলে একটি আসন রাখা” সব সময়ই উত্তম।