অ্যাপল ‘এয়ারপডস’ নিয়ে নতুন শঙ্কা

এক মাস বিলম্বের পর মাত্রই বাজারে এসেছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের নতুন ওয়্যারলেস হেডফোন ‘এয়ারপডস’। এরই মধ্যে হেডফোনটি নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন শঙ্কা। ‘এয়ারপডস’-কে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য (রিসাইকেল) করাটা কষ্টকর এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2016, 12:21 PM
Updated : 21 Dec 2016, 12:21 PM

আগের কয়েক বছর যাবত পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরির দিকেই মনযোগ দিয়েছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি পণ্য যাতে সহজে পুনঃব্যবহার করা যায় সে দিকে জোর দিয়েছে তারা। এর আগে খরুচে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্রক্রিয়ার জন্য সমালোচিত হতে হয়েছে অ্যাপলকে। তারপর থেকেই আরও বেশি পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

রয়টার্স জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির নতুন হেডফোনটি সে নীতির বাইরে যাচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইলেক্ট্রনিকস প্রতিষ্ঠান ‘আইফিক্সিট’। ‘এয়ারপডস’ খুলে তা পরীক্ষার সময় এর পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কষ্টসাধ্য হবে বলে জানিয়েছে তারা।

চার গ্রাম ওজনের নতুন হেডফোনের মধ্যে ছোট ব্যাটারি আঠা দিয়ে লাগানো রয়েছে, যা পুনঃব্যাবহারযোগ্য করাটা কষ্টকর বলে মনে করছেন আইফিক্সিট-এর প্রধান নির্বাহী কাইল উইন্স।

তিনি বলেন, “তারা মূলত যা বলছে যে এটি হেডফোনের ভবিষ্যত।” উইন্স-এর ধারণা মতে এ যাবত ১৪০ কোটি জোড়া আইফোন এবং আইপড হেডফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল। যার মূল্য দাঁড়ায় ৩১ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।

“সামনের দশ বছরে সেখানে সহজেই একশ কোটি এই হেডফোন থাকবে,” যোগ করেন তিনি।

নতুন আইফোন ৭ হতে প্রথাগত ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন বাদ দিয়েছে অ্যাপল। ডিভাইসটির সঙ্গে এর পরিবর্তে লাইটনিং কানেক্টরসহ হেডফোন দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আইফোন ৭ উন্মোচন অনুষ্ঠানেই তারবিহীন ‘এয়ারপডস’ উন্মোচন করে অ্যাপল।

নতুন হেডফোনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৯ মার্কিন ডলার। রিসাইকেল প্রক্রিয়া কষ্টসাধ্য বলা হলেও অ্যাপল জানিয়েছে গ্রাহকরা তাদের হেডফোন ব্যবহারের পর সেগুলো রিসাইকেল করতে ফেরত দিতে পারবেন।

এ ব্যাপারে জানতে অ্যাপল মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।