মূলত তাদের সাইটের মাধ্যমে যাতে এমন কোনো ভিডিও বা ছবি না ছড়ায় যেগুলো বীভৎস এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেজন্যই একসঙ্গে কাজ করবে এই চার শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান-- জানিয়েছে বিবিসি। সম্মিলিতভাবে একটি ডেটাবেইজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর।
এই ডেটাবেইজটি হবে অনলাইন কন্টেন্টের ‘ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট’। এর ফলে কেউ অনলাইনে হিংস্র এবং চরমপন্থী উপাদান আপলোড করলে সেটি ছড়িয়ে পড়ার আগেই থামানো যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে টুইটারের এক মুখপাত্র জানান, ডেটাবেইজটিতে এমন ছবির ডিজিটাল স্ন্যাপশট রাখা হবে যেগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের ছবিকে বলা হয় “হ্যাশ”। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিখুঁতভাবে ফাইল খুঁজে বের করা হয়ে থাকে।
ডেটাবেইসে এসব ছবি থাকায় তা অনলাইনে আপলোড করার সময় সেটি শনাক্ত করে থামানো যাবে বলে জানানো হয়েছে। একটি সাধারণ ডেটাবেইজ থাকায় চারটি প্রতিষ্ঠানের কোনো একটিতে এমন কন্টেন্ট পাওয়া গেলে বাকি সাইটগুলো থেকেও সেগুলো সরিয়ে ফেলা যাবে।
টুইটারের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের গ্রাহক সেবায় এমন কোনো উপাদানের জায়গা নেই যেগুলো সন্ত্রাস প্রচার করে।”
সন্দেহজনকভাবে কারো আপলোড করা কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলা হলে তিনি যদি মনে করেন সেগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয় নি তবে, তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। মূলত এই চার প্রতিষ্ঠানই নয়, অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠান এমন প্রচারণা বন্ধ করতে চায় তাদের কাছেও এই ডেটাবেইজটি উন্মুক্ত করা হতে পারে।