স্যান ফ্রান্সিসকো, মিয়ামি ও বোস্টনসহ মোট ২৪টি শহরে প্রায় ১০০ উবার চালক প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন সমর্থিত ‘১৫ ডলারের জন্য লড়াই’ প্রচারণায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একই সুরে সুর মেলাবেন। ইতোমধ্যেই এই প্রচারণার মাধ্যমে কয়েকটি শহর ও অঙ্গরাজ্যকে বুঝিয়ে সেসব স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত ন্যূনতম মজুরি ৭.২৫ ডলারের পরিবর্তে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাস্টিন বেরিস নামের একজন উবার চালক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “কেউ একজন যে আমেরিকায় বাস করে এবং রোজ কাজে যায়, সেই ব্যাক্তি সম্মানসূচক জীবিকার দাবিদার।” সাপ্তাহিক ৫০ থেকে ৬০ ঘণ্টা পরিশ্রম করে তিনি ৫০০ ডলার বা তারও কম আয় করেন, যা দিয়ে তিনি তার পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে দৈনন্দিন বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত।
২৯ নভেম্বর ‘সার্ভিস এমপ্লয়িস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন’ এর সমর্থিত ‘১৫ ডলারের জন্য লড়াই’ প্রচারণার বিক্ষোভ দেশজুড়ে ৩৪০টি শহরে ও প্রায় ২০টি ব্যস্ততম বিমানবন্দরে একযোগে সঞ্চালিত হবে বলে জানিয়েছেন এর আয়োজকরা। চার বছর ধরে চলা এই আন্দোলনের সঙ্গে ফাস্টফুড শ্রমিক, বাড়ি তত্ত্বাবধান কর্মী, বিমানবন্দরের লাগেজ হ্যান্ডেলারসহ অন্যান্য স্বল্প মজুরির কর্মীরা সরাসরি যুক্ত আছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি আরও কম শ্রমিকবান্ধব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কিছু স্থানে উবারের বিরুদ্ধে স্বল্প ও সঠিক সুযোগ সুবিধা প্রদান না করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এর চালকরা।