সিএনএন-এর ভাষ্যমতে, যদিও অ্যাপল প্রায়ই অনেক প্রযুক্তি পেটেন্ট করে থাকে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা সাফল্যের মুখ দেখে না। এটা মূলত ভবিষ্যতের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ঠিক কী নিয়ে ভাবছে তার একটা ঝলক মাত্র।
২০১৪ সালের জুনে ‘নমনীয় ডিসপ্লে ডিভাইস’-এর পেটেন্টের জন্য আবেদন করে অ্যাপল। এই পেটেন্টে একটি ফোল্ডএবল ডিজাইনে বানানো টাচস্ক্রিন স্মার্টফোনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কীভাবে স্ক্রিনে থাকা নমনীয় ওএলইডি ডিসপ্লে ভাঁজ হতে পারবে সেই পদ্ধতি বলা হয়েছে। এমনকি ফোনটিকে আরও অন্যভাবে ভাঁজ করতে বাড়তি কব্জা লাগানোর কথা রয়েছে, এর মানে হচ্ছে দুই ভাগে ভাঁজ করার পর হয়তো তৃতীয় আরেকটি ভাঁজ করা যাবে আইফোন।
পেটেন্টের ফলে খুব শীঘ্রই ভাঁজ করা আইফোন দেখার সম্ভাবনা আছে এমনটা ভাবার যথেষ্ট অবকাশ থাকলেও নমনীয় পর্দা এখনো সম্ভাবনার অন্তর্জগতেই বসবাস করছে। আর এটা এবারই প্রথম নয় যে অ্যাপল এই বিষয়ে তার আগ্রহ দেখিয়েছে।
এই মাসের শুরুতে অ্যাপলের ভাঁজ করা আইফোনের পেটেন্ট মঞ্জুর করা হয়। এটি একটি নোটবুকের মত খোলা ও বন্ধ করা যাবে। পেটেন্টে বলা হয়েছে এতে পর্দার পরিবর্তে ‘কার্বন ন্যানোটিউব’, যা কব্জার মতো বেঁকে যেতে পারে।
এর আগে অ্যাপলের আইফোন ৬ প্লাস সম্পর্কে অভিযোগ ছিল, পকেটে রাখলে এটি বেঁকে যাচ্ছে যাকে ‘বেন্ডগেইট’ নাম দেওয়া হয়। তারই ফলশ্রুতিতে ত্রুটিপূর্ণ ভাঁজ হয়ে যাওয়া ফোনের অভিযোগকে অনুসরণ করে অ্যাপল তার হার্ডওয়্যারের স্থায়িত্ব উন্নত করতে ও ঠিকমতো পকেটে রাখার সামঞ্জস্য বজায় রাখতে উপায় খুঁজছে বলেও জানা যায়।
অ্যাপলের অন্যান্য সাম্প্রতিক পেটেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ৩৬০ ডিগ্রি সম্পন্ন পর্দা, যা সম্পূর্ণ ফোনকে মুড়িয়ে রাখবে এবং স্মার্টগ্লাস।
যদিও এই ধরনের কোনো আইফোন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।