বেশ কিছু সূত্রের পক্ষ থেকে রয়টার্স-কে জানানো হয় ইয়াহু একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রামের সাহায্যে লাখো গ্রাহকের ই-মেইল স্ক্যান করে সেগুলোর মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।
দেশটির ‘ডেটা প্রোটেকশন কমিশনার’ বা সংক্ষেপে ডিপিসি-এর পক্ষ থেকে চলতি বছরের অক্টোবরে জানানো হয় যে তারা ইয়াহু থেকে আরও তথ্য খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। এর ফলেই এখন সক্রিয়ভাবে মামলাটির তদন্ত শুরু হল।
ডিপিসি’র এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, “আমরা ইএমইএ (ইউরোপ, মিডল ইষ্ট, ও আফ্রিকা)-এর সঙ্গে এই মামলা সংক্রান্ত কিছু নির্দিষ্ট তথ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং এরপরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে”।
আগের মাসে ইয়াহু এটি নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যে, ইউরোপিয়ানদের ই-মেইল মার্কিন কোনো কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্ক্যান করা হয়েছে কিনা। তারা বলেছে যা কিছুই হয়েছে তা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন মেনেই। অন্যদিকে আইনজীবীরা বলছেন, ইইউ নাগরিকদের ই-মেইলের উপর ব্যাপক নজরদারী হবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইনকামিং তথ্য নিয়মের পরিপন্থী।
ইয়াহুর ইউরোপিয়ান সদরদপ্তর আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অবস্থিত। ফলে শীর্ষস্থানীয় ইউরোপীয় গোপনীয়তা বিষয়ক নিয়ন্ত্রক ডিপিসি এটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে ইয়াহু ঠিক কী করেছিল এবং আগের বছর ফাঁস হওয়া এই ঘটনায় কোনো গোপনীয়তা নিয়ম লঙ্ঘণ করা হয়েছে কিনা।
বিশেষজ্ঞদের মতে ই-মেইল স্ক্যানিংয়ের ঘটনা ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ইয়াহু কিনতে ভেরাইজনের পরিকল্পনাকে পুনর্বিবেচনার সুযোগ করে দেবে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে ইয়াহু পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।