আফ্রিকায় পণ্য সরবরাহে বাণিজ্যিক ড্রোন

রুয়ান্ডা-তে প্রথমবারের মতো ড্রোনের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে নিয়মিত পণ্য সরবরাহ শুরু করেছে 'জিপলাইন'।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2016, 11:47 AM
Updated : 14 Oct 2016, 11:48 AM

এর আগে পণ্য সরবরাহে যেসব ড্রোন দেখা গেছে এই ড্রোনটি তার থেকে ভিন্ন। এবারে স্থির পাখার প্লেন আকৃতির ড্রোন ব্যবহার করেছে মার্কিন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান জিপলাইন। পণ্য সরবরাহের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে ল্যান্ড করার প্রয়োজন নেই এই ড্রোনের, জানিয়েছে বিবিসি।

নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পণ্যের বাক্স ফেলে দেবে ড্রোনটি। আর বাক্সের প্যারাসুট পণ্যটিকে নিরাপদে ঠিক জায়গায় পৌছে দেবে। তাই একবারে পণ্য সরবরাহ করে ফিরে এসেই ল্যান্ড করবে ড্রোন।

এই প্রযুক্তিতে রাস্তা দিয়ে পণ্য সরবরাহ করার চেয়ে অনেক দ্রুত পণ্য সরবরাহ করার অঙ্গীকার করেছে জিপলাইন।

স্পেসএক্স, গুগল, লকহিড মার্টিন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মীদের নিয়ে গড়ে উঠেছে জিপলাইন। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ড্রোনগুলো পশ্চিম রুয়ান্ডার পল্লী এলাকায় হাসপাতালগুলোতে রক্ত, প্লাজমা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হবে।

এই ড্রোনগুলো ৫০০ ফুটের নিচে উড়বে যাতে করে অ্যারোস্পেসে কোনো সমস্যা না হয়। ড্রোনটির উড্ডয়নের সীমা ১৫০ কিলোমিটার হলেও তাত্ত্বিকভাবে এটি তার চেয়ে দ্বিগুণ দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম।

ড্রোনের সামনের দিকে ব্যাটারি লাগানো রয়েছে। আর জিপিএস লোকেশন ডেটা দিয়ে এটি নির্দিষ্ট স্থানেও পাঠানো হয়ে থাকে। ড্রোনগুলো ডেটা সংগ্রহ করে সেগুলো সেলুলার সংযোগের মাধ্যমে বেইজ এবং রুয়ান্ডা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে পাঠাবে।

প্রতিটি সরবরাহের ভিত্তিতে জিপলাইন-কে মূল্য পরিশোধ করবে রুয়ান্ডা স্বাস্থ্য বিভাগ। জিপলাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে প্রতিটির সরবরাহের খরচ বর্তমানের মটরবাইক বা অ্যাম্বুলেন্স দ্বারা সরবরাহের সমান।

এর আগে অ্যামাজন, ডিএইচল এবং সিঙ্গাপুর পোস্ট ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ পরীক্ষা করেছে। এক্ষেত্রে সরবরাহের জন্য ড্রোনটিকে নিচে নামতে হয়।

নতুন এই ড্রোন প্রযুক্তিতে নিচে নামার কোনো প্রয়োজন নেই। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন-এর ড. রাভি ভাইদ্যিয়ানাথ বলেন, "এর ফলে ড্রোনের ঘূর্ণায়মান ব্লেডের কাছে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।"

ইতোমধ্যেই জিপলাইনকে কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রুয়ান্ডা সেনাবাহিনী। তবে, দেশটির তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী জানিয়েছেন তাদের প্রতিরক্ষা বিভাগে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার কোনো পরিকল্পনা নেই।