ইমেইল ফাঁসে জড়িত রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র

ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি)-এর আর্কাইভ করা ইমেইল হাতিয়ে নিয়ে তা প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স এবং ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-এর পরিচালক।

নাজিয়া শারমিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2016, 01:54 PM
Updated : 9 Oct 2016, 01:54 PM

এক প্রতিবেদনে মার্কিন প্রযুক্তি সাইট ভার্জ জানিয়েছে, এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে রাশিয়ার উপর ডিএনসি’র আর্কাইভড ইমেইল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক সময়ে ডিসিলিকস ডটকম এবং উইকিলিকস-এর মতো সাইটগুলোতে আর ‘গুসিফার ২’ নামে অনলাইন ব্যক্তির হ্যাক করা ইমেইলগুলোর ফাঁস রাশিয়ার সরাসরি প্রচেষ্টার কৌশল এবং প্রেরণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।” এতে আরও বলা হয়েছে, “আমরা সুযোগ এবং এই প্রচেষ্টার সংবেদনশীলতা উপর ভিত্তি করে বিশ্বাস করি যে, একমাত্র রাশিয়ার সবচেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব কাজের জন্য অনুমোদিত হতে পারেন।”

এরূপ আক্রমণের জন্য আগেও বারবার রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম গোয়েন্দা সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে এমন একটি বিবৃতি দিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সম্ভাব্য প্রচেষ্টা নিয়ে তদন্তে মার্কিন সিনেটর হ্যারি রেই-এর অনুরোধের পর এ বিবৃতি দেওয়া হয়।

গোয়েন্দা বিভাগের হাউজ সিলেক্ট কমিটি'র সদস্য রিপাবলিকান অ্যাডাম শিফ বলেন, “যখন রাশিয়ার মতো বৈদেশিক শক্তি আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় ক্ষতির চেষ্টা করে, আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত। এটি প্রতিরোধে আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী সবকিছু করতে হবে।”

এই ফাঁসে প্রায় ২০টি অঙ্গরাজ্যের ভোটিং ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথাও জানানো হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে রাশিয়ার সরকারকে ওই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি।

এত হুমকির প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স পরিচালক (ডিএনআই) জানিয়েছেন, ডিজিটাল হামলায় সরাসরি নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করার আশঙ্কা কম। তিনি বলেছেন, “একটি জাতি-রাষ্ট্র কর্তাসহ যে কারও জন্য এটি খুবই কঠিন যে, প্রকৃত ব্যালট গণনা বা নির্বাচনের ফলাফল সাইবার হামলা বা অনুপ্রবেশের দ্বারা পরিবর্তন করতে পারে। যাই হোক, ডিএইচএস অঙ্গরাজ্য এবং আঞ্চলিক নির্বাচনের কর্মকর্তাদের সতর্ক হতেও আহ্বান জানাচ্ছে।”