তার এই তত্ত্ব যদি ঠিক হয়, তবে একটি টাইফুনের আঘাতে জাপান ৫০ বছর চলতে পারবে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
বিশ্বের সর্বপ্রথম এই টাইফুন টারবাইনের উদ্ভাভক হলেন আতুশু শিমিজু। অত্যন্ত টেকসই, 'এগবিটার' আকৃতির এই ডিভাইস টাইফুনের জোরালো শক্তিকে শুধু আটাকাবেই না, সেই সঙ্গে একে ব্যবহারযোগ্য শক্তিকে রূপান্তরিত করবে। শিমিজু'র হিসাব অনুযায়ী, এই টারবাইন একটি টাইফুন থেকে ৫০ বছর জাপানের শক্তি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে।
শিমিজু'র কথা ফেলেও দেওয়া যায় না। চলতি বছর ইতোমধ্যে জাপানে ছয়টি টাইফুন হয়েছে। এই হিসাবেই গ্রিন টেক প্রতিষ্ঠান 'চ্যালেঞ্জারি'-এর প্রতিষ্ঠাতা এই উদ্ভাবক জানান, জাপানের 'বায়ুশক্তিতে সুপারপাওয়ার' হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই টাইফুন টারবাইন দুটি ক্ষেত্রে প্রচলিত টারবাইন থেকে আলাদা। এটি সর্বতোমুখী অঘাতে কাজ করে, যার ফলে তা বায়ুর অপ্রতিরোধ্য গতির মুখেও টিকে থাকতে পারে এবং ঝড়ের সময় ব্লেডের গতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গতি সীমিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
শিমিজুর টারবাইন প্রচণ্ড ঝড়েও টিকে থাকতে পারে। ২০১৩ সালে টাইফুন উসাগি আটটি প্রচলিত টারবাইন ধ্বংস করে।
চলতি গ্রীষ্মে ওকিনাওয়ার কাছাকাছি এলাকায় একটি ফাংশনাল প্রোটোটাইপ স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তি পদক্ষেপ হচ্ছে উচ্চ বায়ুচাপে ডিভাইসটি পরীক্ষা করা। তাই এখন কেবলই অপেক্ষা একটি টাইফুনের।