বিবিসি জানায়, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাইক্রো-ব্লগিং প্রতিষ্ঠানটির আয় ২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ কোটি ২০ লাখ ডলারে, যেখানে গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির আয় বৃদ্ধি পেয়েছিলো ৬১ শতাংশ। তবে ব্যবসায়িক ক্ষতির বিবেচনায় গত বছরের প্রতি প্রান্তিকে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার থেকে ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলারে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও মাসিক সচল ব্যবহারকারীর হিসেবে তিন শতাংশ বৃদ্ধির খবর জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সংখ্যা ২০১৫ সালের ৩১ কোটি থেকে এ যাবত ৩০ লাখ বেড়েছে। তবে অন্যদিকে শেয়ারবাজারে প্রতিষ্ঠানটির স্টক মূল্য নয় শতাংশ পড়ে গেছে বলে জানায় বিবিসি।
স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রাম-এর মতো সোশাল মিডিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নিজেদের টিকিয়ে রাখতে ও ব্যবসায় সাম্প্রতিক মন্দাবস্থা কাটিয়ে উঠতে জোর প্রচেষ্টা চালাতে কোনো কমতি রাখছে না টুইটার। এ বছরের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল লিগ আসন্ন মৌসুমের ১০টি খেলা সম্প্রচারের একটি চুক্তি সই করে। তবে ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করায় এসব পদক্ষেপ খুব একটা সফল হয়েছে বলে বলা যাবে না। সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি নতুন করে এর দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৯০ লাখ ব্যবহারকারী যোগ দিয়েছেন টুইটারে।
তবে তাতেও হাল ছাড়ছেন না প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক। শেয়ারহোল্ডারদের কাছে এক চিঠিতে তিনি বলেন, "আমাদের পণ্য সংক্রান্ত পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আর আমাদের পণ্যে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের ফলাফল ব্যবহারকারীদের বর্ধিত ব্যবহারের মাধ্যমে হাতেনাতেই পাচ্ছি।"