চীনা গুপ্তচরের হাতে এক মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের ইমেইল বেহাত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কংগ্রেস সদস্যের ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক প্রচারণামূলক মেসেজে হ্যাকারের প্রবেশের তথ্য মিলেছে।
এই হ্যাকিংয়ের খবর জানিয়েছেন আক্রান্ত কংগ্রেস সদস্য ডন বেকন নিজেই। তিনি রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ১৬ জুন পর্যন্ত একমাস ধরে তার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করেছে বলে একটি এক্স পোস্টে জানিয়েছেন বেকন।
“মাইক্রোসফটের সফটওয়্যারে ত্রুটি”কে হ্যাকিংয়ের কারণ হিসেবে বলেছেন তিনি। এর মাধ্যমে তিনি গত মাসে প্রকাশিত মাইক্রোসফটের হ্যাকিংয়ের দিক ইঙ্গিত করছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
মাইক্রোসফট গত মাসে জানায়, মার্কিন সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কয়েক লাখ ইমেইল ফাঁস হয়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো এবং চীনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নস।
একই আক্রমণে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের ইমেইল অ্যাকাউন্টকেও হামলাকারীরা লক্ষ্য বানিয়েছে বলে তখন বলেছে সিএনএন।
“হামলার শিকার হয়েছেন আরও অনেকেই।” বলেন বেকন। “চীনের কমিউনিস্ট সরকার আমাদের বন্ধু নয়, আর সাইবার গুপ্তচরবৃত্তিতে তারা খুবই সক্রিয়।”
চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র একে “ভিত্তিহীন অভিযোগের” মাধ্যমে “কালিমা লেপনের চেষ্টা” বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে মার্কিন সরকার চীনের সার্বভৌমত্ত্বকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজের বলে দাবি করে চীন।
বেকনের মুখপাত্র বলেছেন, চীনা হ্যাকারদের মাধ্যমে ইমেইল ফাঁস এবং তথ্য চুরির ব্যাপারটি এফবিআই জানায়।
মাইক্রোসফট এবং এফবিআইয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি।
বেকন ২০১৬ সালে মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হন। মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক এই বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বর্তমানে পরিষদের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য, যেটি মার্কিন সরকারের প্রতিরক্ষা বাজেট এবং ব্যয়ের খাত ঠিক করতে সাহায্য করে।
প্রকাশ্যে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন এবং উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রতি চীনের আচরণের ওপর তার কড়া সমালোচনাই এই হ্যাকিংয়ের কারণ, বলেছেন তার মুখপাত্র।