“ঠিক আছে টেইলর…তুমি জিতে গেছ…আমি তোমাকে একটি শিশু দেব। আর তোমার বেড়ালগুলোকে আমি নিজের জীবন দিয়ে হলেও পাহাড়া দেব।”
Published : 12 Sep 2024, 05:33 PM
পপ তারকা টেইলর সুইফট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পক্ষ নেওয়ার পর নিজস্ব মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ইলন মাস্ক।
শীর্ষ প্রযুক্তি সিইওদের মধ্যে ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য ব্যাতিক্রম। বাদবাকি প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ারদের প্রায় সবাই ডেমোক্র্যাট শিবিরে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে সুইফট নিজেকে ‘চাইল্ডলেস ক্যাট লেডি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যে কথাটি এর আগে সন্তানহীন নারীদেরকে বিদ্রুপ করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছিলেন ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেডি ভ্যান্স। সে বিষয়টিই নিজের পোস্টে তুলে ধরেছেন সুইফট।
জবাবে মাস্ক লেখেন, “ঠিক আছে টেইলর…তুমি জিতে গেছ…আমি তোমাকে একটি শিশু দেব।”
“আর তোমার বেড়ালগুলোকে আমি নিজের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব।”
এর আগে ৩৪ বছর বয়সী শিল্পী সুইফট বলেছেন, তিনি হ্যারিসকে ভোট দেবেন কারণ তিনি ‘নানা অধিকার ও বিষয় নিয়ে লড়াই করছেন। আর আমি বিশ্বাস করি, চ্যাম্পিয়ন হতে এমনই একজন যোদ্ধা প্রয়োজন’।
“তিনি খুবই ধিরস্থির ও যোগ্য নেতা। আমার বিশ্বাস, নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর মতো কেউ না এসে এমন শান্তিপ্রিয় কেউ এলে আমরা এদেশের জন্য অনেক কিছুই অর্জন করতে পারব। এমনকি সহযাত্রী হিসেবে টিম ওয়ালজকে বাছাই করাতেও আমি মুগ্ধ হয়েছি, যিনি বেশ কয়েক দশক ধরে ‘এলজিবিটিকিউ+’, ‘আইভিএফ’ ও নারী অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে আসছেন,” এক দীর্ঘ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উল্লেখ করেন সুইফট।
‘টেইলর সুইফট, চাইল্ডলেস ক্যাট লেডি’, এই পরিচিতি দিয়ে পোস্টটি শেষ করেন জনপ্রিয় এ পপ গায়িকা।
নভেম্বরের নির্বাচনে নিজ প্রার্থী সমর্থন নিয়ে টানটান উত্তেজনা ধরে রেখেছিলেন এই আন্তর্জাতিক মিউজিক সেনসেশন, অনেকের মতেই যিনি এ সময়ে বিশ্বের শীর্ষ সেলিব্রিটি।
এরইমধ্যে, নিজের দীর্ঘ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ট্রাম্পের প্রচারণা দল এআইয়ের তৈরি ছবি ব্যবহার করায় সুইফট তাদের একেবারে ধুয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এর ফলে ‘এআই ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে আমার ভীতি আরও বাড়ল।”
“আমি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এবারের নির্বাচনে নিজের আসল পরিকল্পনা সম্পর্কে ভোটার হিসেবে আমাকে খুবই স্বচ্ছ থাকতে হবে। ভুল তথ্য ঠেকানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সত্য বলা,” বলেন তিনি।
মঙ্গলবার দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে অগ্নিঝড়া বিতর্ক দেখা গেছে, যার মধ্যে অর্থনীতি, অভিবাসন এবং গাজা ও ইউক্রেইনে চলমান যুদ্ধের মতো বিষয়গুলোও উঠে এসেছে।
এ বিতর্কে নিজের ৭৮ বছর বয়সী প্রতিপক্ষ ট্রাম্পকে ‘দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপরাধী’, ‘স্বৈরাচারদের বন্ধু’ বলে আক্রমণ করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক হ্যারিস। তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প ‘বর্ণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন’।
এমন অভিযোগের পর উত্তেজিত হয়ে যাওয়া ট্রাম্প অবশ্য হ্যারিসকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন নিজের পূর্বসূরী বাইডেনের কাছ থেকে প্রচারণার বিভিন্ন আইডিয়া চুরি করার অভিযোগ তুলে। এমনকি হ্যারিসকে ‘মার্ক্সিস্ট’ বলেও আখ্যা দেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।