চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে এবিজি লিমিটেডকে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি শর্ত সাপেক্ষে কোম্পানিটিকে দেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জের অংশীদার হিসেবে কমিশন সভায় অনুমোদন দেয়।
বৈঠক শেষে কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিএসইর পরিচালক পর্ষদের অনুমোদন ও পরে এক্সচেঞ্জের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে সিএসইর মালিকানায় যুক্ত হচ্ছে কোম্পানিটি, যেটি দেশের অন্যতম বড় কোম্পানি বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসভিত্তিক কোম্পানি এবিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।
স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, সিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে এ এক্সচেঞ্জের ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা নেবে এবিজি লিমিটেড। এ জন্য প্রতিটি শেয়ার ১৫ টাকা দরে কেনার প্রস্তাব দেয় কোম্পানিটি বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে।
এ আইন অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশের মালিকানা থাকবে এটির অনুমোদিত ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। আর কৌশলগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্লকড হিসেবে থাকা শেয়ারের ৬০ শতাংশ বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে; এর মধ্যে ২৫ শতাংশ কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করতে হবে।
এর আগে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বেছে নেয়। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ডিএসই প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করে ২১ টাকা দরে।
এতদিন কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজতে সিএসই চেষ্টা করেও সফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত এবিজি লিমিটেডকে অংশীদার হিসেবে পেতে যাচ্ছে।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সিএসই এর পরিশোধিত মূলধন ৬৩৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং শেয়ার সংখ্যা ৬৩ কোটি ৪৫ লাখ। সবশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য সিএসই শেয়ারহোল্ডারদের ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়; করপরবর্তী মুনাফা ছিল ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরে ছিল ৩১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
সবেশষ বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪৫ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ১১ দশমিক ৭৫ টাকা।