ক্রস-ফিনিশিং নিয়ে কাজ শুরু কাবরেরার

কোচ হাভিয়ের কাবরেরার চিন্তা বাড়িয়েছে ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনের হ্যামস্ট্রিংয়ে পাওয়া চোট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2023, 03:33 PM
Updated : 7 June 2023, 03:33 PM

প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই বুধবার ‍তৃতীয় দিনের প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এ দিনের অনুশীলনে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা কাজ করেছেন ক্রস ও ফিনিশিং নিয়ে। কিন্তু কোচের চিন্তা বাড়িয়েছে ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট।

আগে থেকেই চোট আছে তপু বর্মন, রিমন হোসেন ও টুটুল হোসেন বাদশার। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রস্তুতির দ্বিতীয় দিনে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান রাকিব। এই ফরোয়ার্ডের চোটের অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারেননি জাতীয় দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন।

“রাকিব কাল ব্যথা পেয়েছে। ওকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এখনও ওর কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। আজকে পরীক্ষা করব, এরপর ‍বুঝতে পারব, কোন অবস্থায় আছে। এখনও তাই রাকিব সম্পর্কে বলতে পারছি না ও কোন পর্যায়ে আছে। তবে আমরা আশাবাদী যে…আসলে ও আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, তাই আমরা ওকে নিয়েই পরিকল্পনা করছি।”

ভারতের বেঙ্গালুরুতে আগামী ২১ জুন শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। হাতে সময় বেশি নেই বলে এ মুহূর্তে যে কারো চোটই দুর্ভাবনার কারণ। বিশেষ করে তপুর মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের চোট পাওয়া আরও বেশি ‍দুঃশ্চিন্তার, মনে করেন মামুন।

“দলে অনেকেই আছে, যারা একাধিক সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছে, মূলত ওরাই আমাদের মূল খেলোয়াড়। এই খেলোয়াড়দের ছাড়া বাংলাদেশ দল (গড়া) আসলে কঠিন হয়ে যায়। আমরা কম্বোডিয়া ম্যাচে টার্গেট করছি না, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।”

“ছেলেদের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা নেই, ওরা এখন যে লেভেলে আছে, ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের চিন্তা হচ্ছে, যে ইনজুরিগুলো আছে, সেগুলো কত দ্রুত রিকভারি করা যায়, সেটা নিয়ে।”

দলের স্কোরিং সমস্যা অনেক  পুরনো। সবশেষ সিশেলসের বিপক্ষে খেলা দুই প্রীতি ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ১-০ ব্যবধানের জয়ে গোল পেয়েছিলেন ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হান। দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিল দল।

সাফ মিশন শুরুর আগে ১৫ জুন কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানালেন কম্বোডিয়া ম্যাচের কৌশলসহ ফিনিশিং নিয়ে কাজ করেছেন কোচ। সাফে গোল পাওয়ার লক্ষ্যও জানালেন তিনি।

“ক্রসিং, ফিনিশিং, বিশেষ করে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে আগামী ম্যাচে আমরা যে কৌশলে খেলব, সেটা নিয়ে কাজ হয়েছে। সবাই লিগ খেলে এসেছে, সবাই ফিট আছে, চেষ্টা করেছে কৌশল রপ্ত করার। কোচ যতটুকু চাইছেন, খেলোয়াড়রা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

“যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামি, তখন শেষ রক্তবিন্দু, ঘামের শেষ ফোঁটা দিয়েও চেষ্টা করতে হয়। সেই চেষ্টাই করি, অনেক সময় সফল হই, অনেক সময় হই না। এবারের সাফে আমার ব্যক্তিগত চেষ্টা থাকবে কয়েকটা গোল করার বা করানোর, যাতে দলে অবদান রাখা যায়।”