বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচটি মরক্কোর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই লড়াইয়ে ভিন্ন এক পরীক্ষায় নামবেন দলটির কয়েকজন খেলোয়াড়। তাদের যে খেলতে হবে মাতৃভূমির বিপক্ষে! বিষয়টি নিয়ে সতর্ক মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি। বললেন, আবেগ সামলে স্রেফ দলের জয়ের জন্য খেলতে হবে তার শিষ্যদের।
‘এফ’ গ্রুপে মরক্কো তাদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। পরের ম্যাচে রোববার বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে তারা। কানাডাকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছে বেলজিয়ানরা।
শক্তি-সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে এই লড়াইয়ে এগিয়েই থাকবে বেলজিয়াম। কঠিন প্রতিপক্ষকে সামলানোর ছক কষার সময় মরক্কোকে ভাবতে হচ্ছে বেলজিয়ামে জন্ম নেওয়া দলের কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়েও।
মরক্কো স্কোয়াডে চার জন বেলজিয়ামে জন্ম নেওয়া খেলোয়াড় আছেন- মিডফিল্ডার সেলিম আমাল্লাহ, বিলাল এল খাননুস, ফরোয়ার্ড ইলিয়াস চাইর ও আনাস জারৌরি। এর মধ্যে খাননুস ও জারৌরি যুব পর্যায়ে বেলজিয়ামের প্রতিনিধিত্বও করেছেন।
বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচটি তাই আর দশটা ম্যাচের চেয়ে ‘বিশেষ উপলক্ষ’ হতে যাচ্ছে তাদের জন্য। আবেগপ্রবণ হয়ে যার প্রভাব পড়তে পারে মাঠেও।
রেগরাগির শনিবারের সংবাদ সম্মেলনেও ওঠে বিষয়টি। ৪৭ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় সম্ভাবনা আছে খেলোয়াড়দের মনোযোগ হারানোর। তবে তার বিশ্বাস, স্রেফ মরক্কোকে জেতানোর মন্ত্রেই মাঠে নামবেন দলের সবাই।
“যে কোনো দ্বৈত জাতীয়তার ক্ষেত্রে…তাদের একটা বিশেষ আবেগ কাজ করে এবং এটি ইতিবাচক শক্তি, যা মেনে নিতে হবে। কিন্তু এটি এমন একটা ম্যাচ যেখানে কার বিপক্ষে খেলছি তা ভুলে আমাদের জিততেই হবে। আমাদের সেদিকেই মনোযোগ দিতে হবে।”
“আমরা জানি তাদের জন্য এটি একটি বিশেষ ম্যাচ, তবে আমাদের তা একপাশে সরিয়ে রাখতে হবে। খুব বেশি আবেগপ্রবণ হওয়া যাবে না, কারণ এতে ভুল করার সম্ভাবনা থাকবে, যা আমাদের জন্য খুব ক্ষতির কারণ হতে পারে।”