সৌদি আরবের কাছে হারের পর এখন মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচটি আর্জেন্টিনার জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। এবার পা হড়কালেই হতে পারে বড় বিপদ। নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির পথচলা থেমে যেতে পারে আগেভাগেই। ফুটবলের এই মহাতারকার প্রতিপক্ষ শিবিরে আছেন তার সাবেক কোচ ও স্বদেশি জেরার্দো মার্তিনো, যিনি এখন মেক্সিকোর দায়িত্বে। এই আর্জেন্টাইন বললেন, অন্য কোনো কিছু মাথায় না রেখে কেবল নিজ দলের জয়ের কথাই ভাবছেন তিনি।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ২-১ গোলে হেরে যায় মেসি-দি মারিয়ারা। আর মেক্সিকো তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে।
শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখতে দুই দলের জন্যই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মেসি ও মার্তিনো। ২০১৪ সালের অগাস্ট থেকে ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন মার্তিনো। এই সময়ে তার কোচিংয়ে খেলেন মেসি। বার্সেলোনাতেও স্বল্প মেয়াদে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের কোচ ছিলেন মার্তিনো।
অনেকটা বিরতির পর আবার দেখা হয়ে যাচ্ছে সাবেক গুরু-শিষ্যের। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবং ভিন্ন বাস্তবতায়। পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলা মেসির জন্য এটিই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভবত শেষ সুযোগ। সেই আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে তার দলকে সবার আগে পার করতে হবে মেক্সিকোর বাধা।
মেসিদের জন্য কাজটা কঠিন করে তোলার ছক কষছেন মার্তিনো। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্বদেশের একজন গ্রেটের বিশ্বকাপ স্বপ্নে গুড়েবালি দিতে তিনি বিবেকের দংশনে ভুগবেন কি-না। মার্তিনোর স্পষ্ট কথা, তার একমাত্র লক্ষ্য মেক্সিকোকে এগিয়ে নেওয়া।
“মেক্সিকোকে জিততেই হবে, মেক্সিকোর জয়ের জন্য আমরা সবকিছু করব। এছাড়া অন্য কোনো উত্তর নেই।”
“জানি, আমি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছি। আমি বলতে পারি, কোন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছি, কোন বছর জন্মগ্রহণ করেছি, আর্জেন্টিনায় আমার শহরের বর্ণনা দিতে পারি। তবে মেক্সিকোর জয়ের জন্য আমাকে সবকিছুই করতে হবে। আমি অন্য কিছু করতে পারি না।”
তবে মেসিকে আটকানো কতটা কঠিন হতে পারে, তা ভালো করেই জানা আছে মার্তিনোর।
“যারা লিওনেল মেসির মুখোমুখি হয়েছে তারা ঠিক একই কথা বলবে: আমরা তাকে থামাতে পারব কি-না। তাকে থামাতে আমরা আসলে কতটা কী করতে পারব, তার চেয়ে বিষয়টি অনেক বেশি নির্ভর করে যে দিনটা তার খারাপ যাবে কি-না।”
"তবে, মেসি তার সেরাটা দেখাবে, সেটা ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা কখনই অনুমান করতে পারি না যে, সে হয়তো সেরাটা দেখাতে পারবে না। কারণ, অনেকবার এমন হয়েছে, ৯০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পাঁচ মিনিটই তার যথেষ্ট।”