‘সমর্থকরা ফুটবল থেকে দূরে সরে যাচ্ছে’

বিশেষ করে, তরুণ দর্শকদের ফেরাতে সুপার লিগের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2022, 10:09 AM
Updated : 3 Oct 2022, 10:09 AM

মৃতপ্রায় ইউরোপিয়ান সুপার লিগকে বাঁচিয়ে রাখার আশা এখনও ছেড়ে দেননি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস। শুরুর ঘোষণার পর প্রবল চাপের মুখে তিন দিনের মধ্যে ভেস্তে যাওয়া ‘বিদ্রোহী’ এই লিগটি ভবিষ্যতে আয়োজনের স্বপ্ন বুকে পুষছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতির মতে, চলমান কাঠামোয় ইউরোপিয়ান ফুটবল ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া তরুণ দর্শকদের ফেরাতে পরিবর্তন আনা খুব জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

গত বছর এপ্রিলে ঢাকঢোল পিটিয়ে সুপার লিগের ঘোষণা দেয় ইউরোপের ১২টি দল। তবে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবল সংস্থাগুলোর প্রবল চাপ এবং সাবেক-বর্তমান ফুটবলারদের তীব্র সমালোচনার মুখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে যায় তাদের সব পরিকল্পনা।

একে একে সরে দাঁড়ায় ৯টি ক্লাব- ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, আর্সেনাল, এসি মিলান, ইন্টার মিলান ও আতলেতিকো মাদ্রিদ। মূলত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে চ্যালেঞ্জ জানানো প্রস্তাবিত টুর্নামেন্টটি এরপর এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে রিয়াল, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তুস।

ক্লাবের সাধারণ সভায় রোববার পেরেসের কথায় মিলল সেই লক্ষ্য ও প্রচেষ্টার কথা।

“আমাদের ভালোবাসার খেলাটি এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে ইউরোপে, স্পেনে তো বটেই। বিশ্বের সেরা খেলা হিসেবে ফুটবল তার জায়গা হারাচ্ছে।”

“সবচেয়ে দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো, ফুটবলে তরুণদের আগ্রহ দিনে দিনে কমছে তো কমছেই। বর্তমানের প্রতিযোগিতাগুলো যে কাঠামোয় চলছে, তা শেষ ধাপের আগ পর্যন্ত দর্শকদের টানতে পারছে না।”

সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই চারিদিক থেকে এতে জড়িত ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে ফিফা ও উয়েফা। সঙ্গে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যায়ের সংস্থাগুলোও।

ফলে আগাম নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর ব্যবস্থা করতে শুরুতেই আদালতের আশ্রয় নেয় সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ। আগামীর পথচলা মসৃণ করার লক্ষ্যে পরে লুক্সেমবার্গ ভিত্তিক ‘কোর্ট অব জাস্টিস অব দা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’-এ আবেদন করে তারা। আগামী বছর এর রায় আসার কথা।

এ বিষয়ে পেরেস বলেন, “ইউরোপিয়ান ফুটবলে উয়েফা যে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে, তার বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান কোর্টে করা মামলা লড়ছে সুপার লিগ।”

চলমান ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ক্লাবগুলোর খুব বেশি মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ নেই। দর্শক টানতে যা আরও বেশি বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন পেরেস। তার মতে, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে আরও বেশি ম্যাচ দর্শকদের উপহার দেয়া উচিত।

 “আমরা যদি গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুই ফাইনালিস্টের দিকে তাকাই, দেখা যায় ছয়বারের ইউরোপিয়ান কাপ জয়ী ঐতিহাসিক ক্লাব লিভারপুলের বিপক্ষে ৬৭ বছরে আমরা মাত্র ৯ বার খেলেছি।”