সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের অষ্টম দল লেবানন

ফিফা র‌্যাঙ্কিং বিবেচনায় এবারের সাফের সবচেয়ে শক্তিশালী দল এখন লেবানন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2023, 10:40 AM
Updated : 8 May 2023, 10:40 AM

এবারের সাফের দ্বিতীয় অতিথি দল চূড়ান্ত হলো। কুয়েতের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় ক’দিন আগে। এবার লেবাননের খেলার বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করলেন দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। 

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতিযোগিতাটির চতুর্দশ আসর আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়ে ৩ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের আসরটি নেপালে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পৃষ্ঠপোষকদের চাওয়ায় ভারতের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

চলতি মাসের শুরুর দিকে কুয়েতের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছিল। সাফের কংগ্রেস শেষে অষ্টম দলের জন্য ১৫ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছিলেন হেলাল। সোমবার লেবাননের খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। 

“এবারের সাফে লেবানন খেলার বিষয়টি সোমবার নিশ্চিত করেছে। তাতে করে আমাদের আট দলের কোটা পূরণ হয়ে গেল।” 

“আট দল চূড়ান্ত হওয়ায় ড্রয়ের সময়েও পরিবর্তন আসতে পারে। এজন্য আমরা আয়োজক ভারতের সঙ্গে কথা বলব। তারা সাড়া দিলে যদি আমরা আগে ড্রটা সেরে ফেলতে পারি, তাহলে ভালো হবে।” 

ভারত, বাংলাদেশ, ভূটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তান আগে থেকেই অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে। ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের আসরে খেলছে না শ্রীলঙ্কা। 

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালে এবারের সাফের সবচেয়ে শক্তিশালী দল লেবানন। বর্তমানে ৯৯তম স্থানে আছে তারা। আরেক অতিথি দল কুয়েত ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৪৩তম। 

সাফের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত (১০১তম)। বাকি পাঁচ দলের অবস্থান যথাক্রমে মালদ্বীপ (১৫৪), নেপাল (১৭৪), ভুটান (১৮৫), বাংলাদেশ (১৯২), পাকিস্তান (১৯৫তম)। 

প্রতিযোগিতার রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। ভারতের মতো একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুখস্মৃতি আছে কেবল মালদ্বীপের; ২০০৮ ও ২০১৮ সালে শিরোপা জিতেছিল তারা। 

গত ১৩ আসরের মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা একবার করে এই শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। ২০০৩ সালে সবশেষ এই মুকুট জেতা বাংলাদেশ ২০০৫ সালে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল, সেবার ভারতের কাছে হারে দল। 

২০১৫ সালে কেরালার আসরে অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান। কখনও ফাইনালে উঠতে না পারা দলটি দুই আসর বিরতি দিয়ে এবার ফিরছে।