চার বছরের চুক্তিতে নতুন ঠিকানা বেছে নিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার।
Published : 25 Jul 2023, 12:09 PM
ধারের সময়টুকু কাটিয়ে ফেরার পর বায়ার্ন মিউনিখে আর থাকা হলো না মার্সেল সাবিৎজারের। অস্ট্রিয়ান এই মিডফিল্ডার নাম লেখালেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে। নতুন এই অভিযানে দারুণ কিছু অর্জনের প্রত্যয়ও শোনা গেল তার কণ্ঠে।
চার বছরের চুক্তিতে বায়ার্ন থেকে বরুশিয়ায় যোগ দিয়েছেন সাবিৎজার। চুক্তির আর্থিক বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। তবে জার্মান সংবাদমাধ্যমের খবর, ২৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে নিতে ২ কোটি ১৫ লাখ ডলারের মতো লেগেছে বরুশিয়ার।
২০১০ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর পর নিজ দেশের বিভিন্ন লিগে খেলে ২০১৪ সালে জার্মান ক্লাব লাইপজিগে যোগ দেন সাবিৎজার। সেখানে লম্বা সময় কাটিয়ে ২০২১ সালে নাম লেখান বায়ার্নে। তবে জার্মানির সফলতম ক্লাবটির হয়ে তার সেরা রূপ দেখা যায়নি। একাদশে সেভাবে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি।
এই বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে তাকে ধারে দলে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ইংলিশ ক্লাবটির হয়েও মৌসুম শেষ করতে পারেননি তিনি। গত মে মাসে হাঁটুর চোটে পড়ে শেষ হয়ে যায় তার মৌসুম।
এবার নতুন মৌসুমের আগেই পেলেন নতুন রোমাঞ্চের ছোঁয়া। বায়ার্নে তার চুক্তি ছিল ২০২৫ পর্যন্ত। কিন্তু ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছেন তিনি মাঝপথেই।
বিবৃতিতে সাবিৎজার বললেন, ক্লাবের স্বপ্নের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেই বরুশিয়ায় পা বাড়াচ্ছেন তিনি।
“অবশেষে এই ক্লাবে যোগ দিতে ও এই জার্সি গায়ে চাপাতে আমার তর সইছে না। ডর্টমুন্ডের ম্যানেজারদের সঙ্গে আমার আলোচনা ছিল দারুণ এবং তারা আমাকে দেখিয়েছে যে, সামনের বছরগুলোয় ক্লাব কতটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী।”
“এই ক্লাব যাতে লক্ষ্য পূরণ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে আমিও নিজের ভূমিকা রাখতে চাই এবং যতটা দ্রুত সম্ভব, সমর্থকদের সঙ্গে স্পেশাল কিছু অর্জনের উদযাপন করতে চাই।”
বায়ার্নে ৫৪ ম্যাচে দুটি গোল করেছেন সাবিৎজার, গোলে সহায়তাও করেছেন দুটি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে চোটে পড়ার আগ পর্যন্ত ভালোই খেলছিলেন তিনি। এই ক্লাবের হয়ে ১৮ ম্যাচে তার গোল তিনটি, গোলে সহায়তা একটি।
অস্ট্রিয়া জাতীয় দলের হয়ে তিনি মাঠে নেমেছেন ৭১ ম্যাচে। জাতীয় দলের সহ-অধিনায়কও তিনি।
গত মৌসুমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মৌসুমের শেষ দিনে টানা ১১তম লিগ শিরোপা নিশ্চিত করে বায়ার্ন, শেষ দিনেই লিগ শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ডর্টমুন্ডের।