সনের আঙুলে চোট সতীর্থদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে

এশিয়ান কাপে জর্ডানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক।

সন হিউং-মিনের আঙুলে ব্যান্ডেজ।

একসঙ্গে ব্যান্ডেজ করা ডান হাতের তর্জনী ও মধ্যমা। কীভাবে এই চোট পেলেন সন হিউং-মিন, তা নিয়ে কৌতূহল ছিলই। অবশেষে জানা গেল, এশিয়ান কাপ খেলতে গিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়ার সময় এই চোট পান দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক।

ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহে জর্ডানের বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল ম্যাচের আগে। টিম ডিনারে দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়রা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ওই সময়ই আঙুলে ব্যথা পান দলটির তারকা খেলোয়াড় সন। চোট নিয়েই পরে খেলেন তিনি।

জর্ডানের বিপক্ষে শেষ চারের লড়াইয়ে ২-০ গোলে হেরে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। ৬৪ বছর ধরে এশিয়ান কাপ না জেতা দলটির অপেক্ষা বাড়ে আরও। জর্ডানও অবশ্য শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি শিরোপা। তাদেরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখে কাতার।

কাতারে অনুষ্ঠিত ওই টুর্নামেন্ট থেকে ক্লাবে ফিরে টটেনহ্যাম হটস্পারের শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি সনের। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের গত শনিবার প্রিমিয়ার লিগে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি দ্বিতীয়ার্ধে। যোগ করা সময়ে ব্রেনান জনসনের গোলে রাখেন অবদান, ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টটেনহ্যাম।

দক্ষিণ কোরিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা বুধবার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিকে খোলাসা করেন সনের চোট পাওয়ার রহস্য।

“এটি ঘটে যখন কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় টেবিল টেনিস খেলতে যায় এবং সন হিউং-মিন ও অন্যান্য সিনিয়র খেলোয়াড়রা সেটা নিয়ে আপত্তি তোলে। খেলোয়াড়দের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এর মাঝেই আঙুলে ব্যথা পান সন।”

কোরিয়ান ফুটবল ফেডারেশন সনের চোট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সনের জাতীয় দলের সতীর্থ ও পিএসজির খেলোয়াড় লি ক্যাং-ইন ইনস্টগ্রামে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

“ফুটবলপ্রেমীদের খুবই হতাশ করেছি আমরা, যারা আমাদের জাতীয় দলকে সবসময় সমর্থন করে। আমি সত্যিই দুঃখিত।”

“আমার উচিত ছিল ভাইদের নির্দেশনা অনুসরণ করে বাকিদের পথ দেখানো। কিন্তু ফুটবল ভক্তদের সামনে বাজে ভাবমূর্তি স্থাপনের জন্য আমি দুঃখিত। আমি যাদেরকে হতাশ করেছি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এখন থেকে আমার ভাইদের (সতীর্থ) আরও ভালো খেলোয়াড় ও মানুষ হতে সাহায্য করার চেষ্টা করব আমি।”