আগামী ১৫ জানুয়ারি জানা যাবে, এই তিন জনের মধ্যে কে জিতলেন ফিফার সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার।
Published : 12 Dec 2023, 11:07 PM
গত মৌসুমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ফিফা বর্ষসেরা পুরুষ গোলরক্ষকের লড়াইয়ে প্রত্যাশিতভাবে আছেন এদেরসন। ম্যানচেস্টার সিটির এই ব্রাজিলিয়ানের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন মরক্কোর ইয়াসিন বোনো ও বেলজিয়ামের থিবো কোর্তোয়া।
আগামী ১৫ জানুয়ারি লন্ডনে ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীর নাম। সেরা গোলরক্ষক বাছাইয়ে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
এই লড়াইয়ে প্রাথমিকভাবে ছিলেন পাঁচ জন, যাদের বেছে নিয়েছিল বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা করা হয়েছে ফিফা ওয়েবসাইটে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটের ভিত্তিতে।
ইয়াসিন বোনো (মরক্কো)
কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর পোস্টে আলো ছড়ানোর পর বোনো ক্লাব ফুটবলেও সেভিয়ার জার্সিতে ছিলেন উজ্জ্বল। দলটির সপ্তমবারের মতো ইউরোপা লিগ জয়ে রাখেন অবদান।
বিশ্বকাপে মরক্কো রূপকথা থামে সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে, তার আগে দলটির পোস্টে তিনি ছিলেন নির্ভরতা হয়ে। শেষ ষোলোয় স্পেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয়ের নায়কও ছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
ইউরোপা লিগের ফাইনালে রোমার বিপক্ষে টাইব্রেকারেও বোনো ছিলেন দেয়াল হয়ে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে জেতে সেভিয়া; শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে রোমার রজার ইবানেস ও জানলুকা মানচিনির শট আটকান তিনি।
ওই পারফরম্যান্সের সুবাদে বোনো জিতে নেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। জায়গা পান ইউরোপা লিগের টিম অব দা সিজনেও। পরে বোনো নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে সেভিয়া ছেড়ে যোগ দেন সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালে।
থিবো কোর্তোয়া (বেলজিয়াম)
চোটের কারণে অনেক দিন ধরে মাঠের বাইরে আছেন এই বেলজিয়ান গোলরক্ষক। তবে বিবেচিত সময়ে ঠিকই দ্যুতি ছড়ান তিনি, বিশেষ করে রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে। ওসাসুনার বিপক্ষে সবশেষ কোপা দেল বের ফাইনালে রেয়ালের ২-১ গোলের জয়ের সঙ্গী ছিলেন তিনি। রেয়াল এ প্রতিযোগিতার ২০তম শিরোপার স্বাদ পায়।
দেশের হয়ে শততম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করা কোর্তোয়াকে ‘ওয়াক অব ফেমে’ জায়গা দিয়ে সম্মানিত করেছে বেলজিয়াম। রয়্যাল বেলজিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রক্সিমাস বেসক্যাম্পে কোর্তোয়ার হাতের ছাপ রাখা হয়েছে।
এদেরসন (ব্রাজিল)
গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের নায়কদের একজন এই ব্রাজিলিয়ান। ১০ বছরের মধ্যে সিটির ষষ্ঠবারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ে দারুণ অবদান রাখেন এদেরসন। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে সিটির সপ্তম এফএ কাপ জয়ের মিশনেও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। পরে ৩১ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক জিতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে দারুণ সব সেভে সিটির ত্রাতা ছিলেন এদেরসন। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে রোমেলু লুকাকুর খুব কাছ থেকে নেওয়া শট এবং পরে রবিন গোসেন্সের হেড ফিরিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জিতে উৎসবে মাতে সিটি।