‘জিকো-জামালরা জানে নেপাল ম্যাচে তাদের করণীয়’

সামর্থ্যের শতভাগ নিংড়ে দিয়ে নেপালের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে উন্মুখ হাভিয়ের কাবরেরার দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2022, 03:02 PM
Updated : 25 Sept 2022, 03:02 PM

কম্বোডিয়াকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবার নেপালের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ার পালা। আগের দিনের রিকভারি সেশনের পর এবার অনুশীলন পর্ব। এদিন জিকো-জামালরা জিমনেশিয়ামে সময় কাটিয়েছেন। প্রস্তুতি নিয়েছেন আর্মি হেডকোয়াটার মাঠে। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে বিল্ড-আপ ফুটবল খেলতে যে সমস্যা হচ্ছিল, কাজ হয়েছে তা নিয়েও। বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন জানিয়েছেন, নেপালের ম্যাচের করণীয়টা জানে দলের সবাই।

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচ সামনে রেখে রোববার দল নিয়ে মাঠের অনুশীলন সেরেছেন হাভিয়ের কাবরেরা।

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা ম্যাচে কোচের প্রত্যাশা অনুযায়ী জামাল-রাকিবরা বল পায়ে রেখে খেলতে পারেনি। নেপাল ম্যাচ সামনে রেখে এদিকে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন হাসান আল মামুন।

“ঘরের মাঠে নেপাল সবসময় আমাদের জন্য শক্ত প্রতিপক্ষ। আমরাও প্রস্তুত। কম্বোডিয়া থেকে আমরা যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এখানে এসেছি…নেপাল ম্যাচের জয়ের জন্য আমরা সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলব। খেলোয়াড়রা সবাই সুস্থ আছে এবং তারা প্রত্যেকেই জানে, দেশের জন্য তাদেরকে কী করতে হবে। আশা করি, ইনশাল্লাহ এ ম্যাচ জিতে দেশে ফিরব।”

“অনেক দিন পর কম্বোডিয়ায় একটা ম্যাচ খেলেছি আমরা। ওই ম্যাচে আমাদের বিল্ড-আপে সমস্যা হচ্ছিল। আমরা পায়ে বল রাখতে পারছিলাম না; এটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। পাশাপাশি নেপাল যে কৌশলে খেলে, তারা প্রতিআক্রমণে লং বলে খেলে, বিশেষ করে উইং ধরে, এ কারণে রক্ষণ নিয়েও কিছু কাজ করেছি। একজন প্রেস করলে অন্যরা কিভাবে কাভার করবে, সেটা নিয়ে কাজ হয়েছে।”

নেপাল থেকে জয় নিয়ে দেশের ফেরার আশাবাদ আগের দিন জানিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর কণ্ঠেও সেই একই প্রতিধ্বনি। তবে চাওয়া পূরণে সতীর্থদের কাছে শতভাগ চাইলেন তিনি।

“সামনে আমাদের নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ। এ ম্যাচটাও আমরা ভালোভাবে খেলে জিততে চাই। আমরা খেলোয়াড়রা সবাই যদি শতভাগ দিতে পারি, তাহলে আশা করি ম্যাচটা আমরা জিতব। নেপালের বিপক্ষে আমরা আক্রমণাত্মকই খেলব; জেতার জন্য খেলব। খেলোয়াড়রা সবাই আত্মবিশ্বাসী যে-তারা জেতার জন্যই নেপালে এসেছে।”

কাবরেরার বিল্ড-আপ ফুটবল দর্শনের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে আরও সময় প্রয়োজন বলে মনে করেন জিকো। তবে ২৫ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক জানালেন চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না তারা।

“এর আগে আমরা জেমি ডেসহ আরও অনেক কোচের কাজ করেছি। কারবেরা নতুন এসেছে, ও বিল্ড-আপ ফুটবল পছন্দ করে। সাধারণত আমরা বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ডিফেন্সিভ খেলি, ও যেহেতু বিল্ড-আপ ফুটবল পছন্দ করে, আমরাও চেষ্টা করছি ওর কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। কাবরেরার অধীনে আমরা চার-পাঁচটা ম্যাচ খেলেছি। আমি মনে করি, যদি আমরা আরও সময় পাই, তাহলে আরও উন্নতি করব।”