সমমানের দুই দলের লড়াই জমল বেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য করল বাংলাদেশ, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল পেল নেপাল। শেষ দিকের ওই গোলে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শনিবার মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারায় নেপাল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন বর্ষা অলি।
দুই ম্যাচে টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষে নেপাল। ৩ পয়েন্ট নিযে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল নেপাল। আর ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
দাপুটে জয়ে প্রতিযোগিতা শুরুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামা দুই দল প্রথমার্ধে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। তবে আক্রমণে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
সপ্তম মিনিটে উমেহ্লা মারমা দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি। টোকা দিতে পারলে হতে পারত গোল। দ্বাদশ মিনিটে নুসরাত জাহান মিতু বক্সে বল পেলেও ঠিকঠাক শট নিতে ব্যর্থ।
ঘোড়ষ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু জয়নব বিবি রিতার শট গোলরক্ষক সুজাতা তামাং ফিস্ট করার পর বক্সেই ফাঁকায় পেয়ে যান উমেহ্লা। কিন্তু আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা এই ফরোয়ার্ডের শট পোষ্ট ঘেঁষে যায় বাইরে।
একটু পর বড় বাঁচা বেঁচে যায় বাংলাদেশ। গোল কিকে উড়ে আসা বল রুমা আক্তার ক্লিয়ার করতে শট নেওয়ার চেষ্টা করে পারেননি, পাশেই ছিলেন নেপালের বর্ষা। ভুটান ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা এই ফরোয়ার্ড শট নেওয়ার আগে দ্রুত ছুটে গিয়ে বিপদমুক্ত করেন অধিনায়ক।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে সহজ সুযোগ হেলায় হারান উমেহ্লা। সতীর্থের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও উড়িয়ে মারেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়াতে থাকে বাংলাদেশ। বদলি নামা সুরভি আকন্দ প্রীতি, লিভা আক্তার কয়েকবার রাইট উইং ধরে আক্রমণ শাণালেও কোনোটিই আলোর মুখ দেখেনি গোলরক্ষক সতর্ক থাকায়।
৮৬তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে জয়সূচক গোলটি পায় নেপাল। মাঝমাঠের একটু উপর থেকে সিমরন রায়ের ফ্রি কিক অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন বর্ষা। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
আগামী সোমবার দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ফের ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
তিন দলের এবারের প্রতিযোগিতায় পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দল জিতবে শিরোপা।