চেলসির মার্ক কুকুরেইয়ার চুল ধরে মাঠে ফেলে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ওই ম্যাচের ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) মাইক ডিন। টটেনহ্যাম হটস্পারের ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর সম্ভাব্য হিংসাত্মক আচরণ পর্যালোচনা করে দেখতে অন-ফিল্ড রেফারিকে সুপারিশ না করাটা তার ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে গত রোববার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসি ও টটেনহ্যামের ২-২ গোলে ড্র ম্যাচের ঘটনা এটি। ম্যাচের শেষ দিকে চেলসির ডি-বক্সে ডিফেন্ডার কুকুরেইয়াকে পেছন থেকে চুল ধরে টেনে ফেলে দেন রোমেরো। অন-ফিল্ড রেফারি অ্যান্থনি টেইলর ফাউল ধরেননি। এর একটু পরই গোল করে ২-২ সমতা টানেন টটেনহ্যামের হ্যারি কেইন।
ম্যাচ শেষে চেলসির কোচ টমাস টুখেল ওই ঘটনায় রেফারি টেইলরের কড়া সমালোচনা করেন। আর কুকুরেইয়া বলেন, রোমেরোর কাণ্ড যে লাল কার্ড পাওয়ার অপরাধ, তা ছিল একদম স্পষ্ট।
‘দা মেইল প্লাস’ এ বৃহস্পতিবার লেখা কলামে ওই ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে নেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি ডিন।
“ভিএআর হিসেবে আমি ফ্রি কিক দিতে পারি না, তবে টেইলরকে সম্ভাব্য লাল কার্ড বিবেচনা করার জন্য রেফারি পর্যালোচনা অঞ্চলে (মাঠের পাশে মনিটরে দেখতে) যাওয়ার সুপারিশ করতে পারতাম। আমাকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রোমেরোর কুকুরেইয়াকে চুল টেনে ধরার বিষয়টি ভাবতে হয়েছিল, তখন এটিকে হিংসাত্মক আচরণ বলে মনে করিনি।”
“তখন থেকে আমি ফুটেজটি বারবার দেখেছি, অন্যান্য রেফারির সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর আমার মনে হয়েছে, টেইলরকে মাঠের পাশে মনিটরে গিয়ে বিষয়টি দেখতে বলা উচিত ছিল। মাঠের রেফারির সবসময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থাকে।”
এই মৌসুমেই ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন থেকে কুকুরেইয়াকে ছয় বছরের জন্য দলে টানে চেলসি। ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনা এড়াতে তার লম্বা চুল কাটাবেন কি-না, এমন প্রশ্নে গত বুধবার ২৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হাসতে হাসতে বলেন, “না, না, কখনোই না! এটাই আমার স্টাইল।”
চেলসি-টটেনহ্যামের ওই ম্যাচে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল খেলা চলাকালীন দুই কোচের বারবার লেগে যাওয়া ও শেষ বাঁশি বাজার পর করমর্দনের সময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখা।