আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে শেষ সময়ে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন ফেদে ভালভের্দে, রেয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডারের অনুশীলনের গল্প শোনালেন গোলকিপার থিবা কোর্তোয়া।
Published : 21 Apr 2025, 11:40 AM
ডান পায়ের ভলিটা যখন করলেন ফেদে ভালভের্দে, মনে হচ্ছিল বুঝি বল চলে যাবে বাইরে দিয়ে। কিন্তু চোখের পলকে বল ঢুকে গেল জালে। গোলকিপার চেষ্টা করতে গিয়েও থেমে গেলেন, তার সাধ্যের বাইরে! আথলেতিক বিলবাওয়ের গোলকিপারের যে অভিজ্ঞতা হলো, সেই অভিজ্ঞতা অনুশীলনে নিয়মিতই হয় থিবো কোর্তোয়ার। রেয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার শোনালেন সেই গল্প।
লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে রেয়াল মাদ্রিদের টিকে থাকার আশা যখন আরও ফিকে হয়ে ওঠার পথে, ত্রাতা হয়ে আসেন ভালভের্দে। ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তার দারুণ শট কোনোরকমে ঠেকিয়ে দেন বিলবাওয়ের গোলকিপার উনাই সিমন। মিনিট দুয়েক পর দলকে আর রক্ষা করতে পারেননি সিমন। বক্সের ভেতরে ডানপ্রান্ত থেকে গোলার মতো ভলিতে দূরের পোস্টে বল পাঠিয়ে দেন ভালভের্দে।
গত কয়েক বছরে দারুণ কিছু গোল নানা সময়েই উপহার দিয়েছেন ভালভের্দে। বক্সের বাইরে থেকে ভলি বা দূরপাল্লার শটে দলকে এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ গোল। সতীর্থদের কেউ কেউ মজা করে তাকে এমনও বলেছেন, ‘একটা স্বাভাবিক গোল তো অন্তত করো…!’
কিন্তু ভালভের্দে অস্বাভাবিক গোল করতেই যেন বেশি পছন্দ করেন। তার বেশির ভাগ গোলই চোখধাঁধানো।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয়ের পর গোলকিপার কোর্তোয়া বললেন, অনুশীলনেও ভালভের্দেকে এই রূপে দেখতে তারা অভ্যস্ত।
“ফেদের এরকম অস্বাভাবিক শট নেওয়ার ক্ষমতা আছে, খুবই ভালো তা। গতকালকে অনুশীলনে সে এরকম একটি শট নেয়, যা মনে হচ্ছিল বাইরে চলে যাচ্ছে, কিন্তু আচমকা ঘুরে এটা ভেতরে ঢুকে যায়…। আমি বললাম, ‘এটা কিভাবে করলে?’ খুবই তীক্ষ্ন, গতিময় ও শক্তিশালী শট।”
“ট্রেনিংয়ে এরকম গোল সে প্রতি সপ্তাহেই একুট-দুটি করে থাকে। আমরা ওকে অনেক দিন ধরেই বলছি, ‘শট নাও, সুযোগ পেলেই শট নাও…।”
কার্লো আনচেলত্তি তো বরাবরই ভালভের্দের গুণমুগ্ধ। জয়ের কৃতিত্ব এই মিডফিল্ডারকেই দিলেন রেয়াল মাদ্রিদ কোচ।
“ভালভের্দের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ গোলটি সে করেছে। সে ভালো খেলেছে, দলও ভালো খেলেছে। প্রথমার্ধে আমরা একটু মন্থর ছিলাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সব দিক থেকেই ভালো ছিলাম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ার পর জিততে মরিয়া ছিলাম আমরা।”
১-০ গোলের জয় হলেও রেয়ালের স্বস্তি অনেক বড়। এই ম্যাচে পয়েন্ট হারালে শিরোপা লড়াই থেকে একরকম ছিটকেই পড়তে হতো। চার পয়েন্টের ব্যবধান তারা ধরে রাখত পারল এই জয়ে। ৩২ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট তাদের, বার্সেলোনা শীর্ষে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে।
আগামী মাসে এই দুই দলের লড়াই বড় ভূমিকা রাখতে পারে শিরোপা নির্ধারনে। এর আগেই আগামী শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালে লড়বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দল।