আর্জেন্টিনার কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ার চমক জাগানিয়া ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন লিওনেল স্কালোনি।
Published : 21 Mar 2024, 11:05 PM
নভেম্বর থেকে মার্চ, মাঝে কেটে গেছে চার মাস। মারাকানার সেই সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দেওয়ার ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন লিওনেল স্কালোনি। বললেন, বিশ্বকাপ জয়ের পর সময়টা সত্যিই কঠিন ছিল তার জন্য। সামনের পথচলা নিয়ে চিন্তাভাবনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন বলে অমন মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
গত নভেম্বরে রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ব্রাজিলকে হারানোর পর হুট করেই আর্জেন্টিনার দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দেন স্কালোনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া তার জন্য ‘জটিল’ হয়ে উঠছে। কী করবেন, তা নিয়ে তাকে অনেক ভাবতে হবে।
ওই সময়ে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ক্লাউদিও তাপিয়ার সঙ্গে ঠিকঠাক বনছে না বলে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন স্কালোনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। জানিয়ে দেন, আগামী জুনের কোপা আমেরিকার আগে তিনি দায়িত্ব ছাড়বেন না।
ব্রাজিলের বিপক্ষে ওই ম্যাচের পর প্রথমবার মাঠে নামতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৬টায় প্রীতি ম্যাচে এল সালভাদরের মুখোমুখি হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচটি সামনে রেখে মারাকানার ওই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন স্কালোনি।
"আমি যা বলেছিলাম তা ছিল আমার চিন্তাভাবনা, বিবেচনার বিষয়। কঠিন একটি বছর কাটানোর ফলেই ওই ভাবনা এসেছিল। বিশ্বকাপ জয়ের পর কঠিন একটি বছর ছিল। কেবল ফুটবলের জন্যই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও সময়টা ছিল নতুন করে ভেবে দেখার। আমরা কী করতে চাই, তা জানার এবং ভাবার সময় ছিল ওটা। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সামনে আসছিল এবং আমাদের আরও দৃঢ় হতে হতো। ওই মুহূর্তে আমি এটাই বলেছিলাম।”
"বিষয়টি নিয়ে ভাবার পর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার দরকার ছিল। আমরা (কোচিং স্টাফ) কখনোই বলিনি যে, দায়িত্ব চালিয়ে যাব না, তবে নতুন পরিকল্পনায় কৌশল সাজাতে হতো…স্থবিরতা যেন না আসে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালিয়ে যাওয়াটাই মূল বিষয়। সেটা নিয়েই আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমার মনে হয়েছিল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা দরকার।”
পরিবারও এখানে বড় একটা ব্যাপার ছিল, বললেন স্কালোনি।
“সবকিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং প্রত্যেকে তাদের মতামত দিয়েছে। একজন ফুটবলারের জীবন মানেই পরিবার থেকে দূরে থাকা…তবে লক্ষ্য সবসময় একই থাকে, জাতীয় দলের জন্য সেরাটা করার চেষ্টা করা।”