লা লিগা
৬ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছে রেয়াল মাদ্রিদ ও রায়ো ভাইয়েকানো।
Published : 15 Dec 2024, 04:05 AM
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার প্রথমার্ধেই সমতা ফেরাল রেয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়েও গেল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। তবে উজ্জীবিত ফুটবলে তাদের রুখে দিল রায়ো ভাইয়েকানো। তাতে লা লিগার শীর্ষ যাওয়ার সুযোগ হারাল কার্লো আনচেলত্তির দল।
ভাইয়েকানোর মাঠে দুই দলের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষ হয়েছে ৩-৩ সমতায়।
উনাই লোপেস স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আব্দুল মুমিন। দুই মিডফিল্ডার ফেদে ভালভের্দে ও জুড বেলিংহ্যামের গোলে দ্রুতই সমতা ফেরায় রেয়াল।
রদ্রিগোর ‘খরা কাটানো’ গোলে এগিয়ে যায় রেয়াল। একটু পরেই ইসি পালাসনের গোলে সমতা ফেরায় ভাইয়েকানো। যেটি তাদের এনে দেয় ১ পয়েন্ট।
১৭ ম্যাচে ১১ জয় ও চার ড্রয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরেই আছে রেয়াল। সমান ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় বার্সেলোনা। নিজেদের পরের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ জিতলে তিনে নেমে যেতে হবে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচের শুরুতে যখন মনে হচ্ছিল নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে রেয়াল, সেই সময়ে এগিয়ে যায় ভাইয়েকানো! চতুর্থ মিনিটে দূরের পোস্টে হোর্হে দে ফ্রুতোসের নিখুঁত ক্রসে অরক্ষিত লোপেসের হেড জড়ায় জালে। কিছুই করার ছিল রেয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার।
একাদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন দে ফ্রুতোস। পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়েও অরক্ষিত স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না রেয়াল। উল্টো উজ্জীবিত ফুটবলে ইউরোপের সফলতম দলটির রক্ষণের প্রবল পরীক্ষা নিচ্ছিল ভাইয়েকানো।
প্রতি আক্রমণ থেকে ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান প্রায় বাড়িয়েই ফেলেছিলেন পাথি সিস। দে ফ্রুতোসের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরাল শট নেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার। তবে একটুর জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় বল।
পরের মিনিটে সমতায় ফেরানোর খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল রেয়াল। লুকাস ভাসকেসের নিচু ক্রসে আর্দা গিলেরের পা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে। একটু এদিক সেদিক হলে বল যেতে পারত জালে।
৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুমিন। দূরের পোস্টে পালাসনের দারুণ কর্নারে জোরাল আড়াআড়ি হেডে জাল খুঁজে নেন ঘানার এই ডিফেন্ডার।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়া রেয়াল ব্যবধান কমায় ভালভের্দের দারুণ গোলে। ডি বক্সের বাইরে থেকে গতিময় শটে পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি ভাইয়েকানোর গোলরক্ষক অগাস্তো বাতায়া।
চলতি মৌসুমে এটি ভালভের্দের চতুর্থ গোল। সব গোলই তিনি করলেন ডি বক্সের বাইরে থেকে।
স্বাগতিকদের দারুণভাবে চেপে ধরা স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা সমতা ফেরায় ৪৫তম মিনিটে। রদ্রিগোর দারুণ ক্রসে চমৎকার হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন বেলিংহ্যাম।
লিগে টানা টানা ছয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। সমতার স্বস্তিতে বিরতিতে গেল রেয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ভাইয়েকানোকে প্রবলভাবে চেপে ধরে রেয়াল। ৫২তম মিনিটে জালে বল পাঠান গিলের। তবে তিনি নিজেই অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।
চার মিনিট পর এগিয়ে যায় রেয়াল। ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে জোরাল শট নেন রদ্রিগো। ভাইয়েকানোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে একটু দিক পাল্টে জড়ায় জালে। সেপ্টেম্বরের পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এটাই দলের হয়ে প্রথম গোল।
৬৪তম মিনিটে সমতা ফিরিয়ে রেয়ালকে চমকে দেয় ভাইয়েকানো। ফ্লোখিয়ঁ লুজনের ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। কিন্তু কাটেনি বিপদ। সতীর্থর পা ঘুরে বল পেয়ে ফরাসি ডিফেন্ডার নিখুঁত ক্রসে বাড়ান ডি বক্সে। ছুটে গিয়ে অনায়াসে বাকিটা সারেন পালাসন।
তিন মিনিট পর এগিয়েও যেতে পারত ভাইয়েকানো। পেদ্রো দিয়াসের শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
৮৪তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রকে হতাশ করেন বাতায়া। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের দারুণ শট ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল রেয়াল। কিন্তু ফ্রান গার্সিয়ার ক্রসে ভিনিউসিউসের হেডে গোলমুখে বল গেলেও সফরকারীদের কেউ পা ছোঁয়াতে পারেননি। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে রেয়াল।