গোল উৎসব করে শেষ আটে বার্সেলোনা

শুরুর মলিনতা কাটিয়ে কার্যকর ফুটবল খেলে সেওতার মাঠে অনায়াসে জিতেছে শাভি এরনান্দেসের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2023, 08:56 PM
Updated : 19 Jan 2023, 08:56 PM

স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা বার্সেলোনা যে ঠিক আক্রমণের ঝড় বইয়ে দিল, তা নয়। শুরুতে ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবলই খেলছিল তারা। তবে রাফিনিয়া দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর গোলমুখে কার্যকর হয়ে উঠলেন বাকিরা। তাতে গোল উৎসব করে কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল শাভি এরনান্দেসের দল।

শেষ ষোলোর ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে তৃতীয় বিভাগের দল সেওতাকে ৫-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা।

রাফিনিয়া গোলমুখের আগল খুলে দেওয়ার পর রবের্ত লেভানদোস্কি জালের দেখা পান দুইবার। অন্য দুই গোলদাতা আনসু ফাতি ও ফঁক কেসিয়ে।

বলের নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য করলেও বার্সেলোনার আক্রমণে ধার ছিল না মোটেও। সেওতাও নিজেদের মাঠে খেলছিল রক্ষণ জমাট রেখে। তাতে কোনো পক্ষই গোলরক্ষকের কোনো পরীক্ষা নিতে পারছিল না।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে খেলায় ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব কাটে কিছুটা। ২৯তম মিনিটে সেওতার রদ্রির হেড বাইরের জাল কাঁপায়। ৩৪তম মিনিটে রাফিনিয়ার ক্রস দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়, টোকা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। লেভানদোভস্কি দূরে থাকায় ছুটে এসেও নাগাল পাননি বলের।

অবশেষে ৪১তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণ থেকে ম্যাচের ডেডলক ভাঙেন রাফিনিয়া। ফঁক কেসিয়ের পাস প্রথম স্পর্শে তিনি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আলতো টোকায় একটু এগিয়ে নেন। এরপর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের শট দূরের পোস্ট দিয়ে খুঁজে নেয় ঠিকানা। প্রথমার্ধে এটাই ছিল লক্ষ্যে প্রথম শট।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে লেভানদোভস্কির নিখুঁত প্লেসিং শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বার্সেলোনা। পোলিশ ফরোয়ার্ডের গোলেও নেপথ্যের কারিগর ছিলেন কেসিয়ে। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে বক্সে লেভানদোভস্কির উদ্দেশে বল বাড়িয়েছিলেন তিনি।

৬০তম মিনিটে ফেররান তরেসের বদলি নেমে ১০ মিনিট পরই জালের দেখা পান ফাতি। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা এই তরুণ ফরোয়ার্ডকে চার্জ করেনি কেউ। সামনে থাকা এক ডিফেন্ডারকে চকিত চমকে কাটিয়ে কিছুটা জায়গা করে নিয়ে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

সাত মিনিট পর রাফিনিয়ার ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন শুরুর দুই গোলে অবদান রাখা কেসিয়ে।  ৮৪তম মিনিটে ফাতির শট শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সেওতা গোলরক্ষক। তবে ৯০তম মিনিটে লেভানদোভস্কির দ্বিতীয় গোলে নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সেলোনার বড় জয়।