ঢাকা, ১২ জুলাই (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - বিদেশি খেলোয়াড়রা ঠিকমতো অনুশীলন না করায় সুপার কাপে নিজেদের প্রথম খেলায় মোহামেডান লিমিটেডের সঙ্গে ১-১ গোলে তার দল ড্র করেছে বলে মনে করছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ মাহমুদুল হক লিটন।
আর মোহমেডান কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক দলের খেলায় হতাশ নন বলে জানান। বরং বলেন, সুপার কাপের শেষ চারে ওঠার দিন গুনছেন তিনি।
খেলা শেষ হতেই সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন শেখ রাসেলের কোচ মাহমুদুল হক লিটনকে। রাগে অন্ধ হয়ে পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে বললেন, "এইখানে সব লেখা আছে। নিয়মিত অনুশীলনে কারা আসেন আর কারা আসেন না। সকাল সাতটায় অনুশীলন থাকলে এডওয়ার্ড (ভিক্টর) আসেন নয়টায়। এইভাবে দল চালানো যায় না। দলে বিশৃঙ্খলা থাকলে একটি দল হয়ে খেলা সম্ভব নয়।"
অনুশীলনে নিয়মিত নন এসব খেলোয়াড়দের দলে রাখেন কেন? এই প্রশ্নের জবাব প্রথমে দিতেই চাইলেন না তিনি। পরে বললেন, "না রেখে উপায় কি? দলে ভালো খেলোয়াড় কোথায়? তবে বিদেশিরা এমন করতে থাকলে ভালো করতে পারবো বলে মনে হয় না।"
বিদেশি খেলোয়াড় ইসমাইল বানগুরার গোলেই খেলায় সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। এই বিষয়টিকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, "বানগুরা আরামবাগের খেলোয়াড়। খেলা শুরুর দশ মিনিট আগে বানগুরার ছাড়পত্র হাতে এসেছে। তড়িঘড়ি করে নামিয়ে দিয়েছি। ও ভালো খেলোয়াড়। কিন্তু তাকে বল যোগান দেয়ার মতো খেলোয়াড় তো নেই।"
দলের খেলায় হতাশ হলেও ১৪ তারিখ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে 'অলআউট' ফুটবল খেলবেন বলে ঘোষণা দিলেন এক সময় ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ঢাকার মাঠ কাঁপানো লিটন।
মোহামেডান কোচ মানিক গোল হজমের জন্য দায়ী করলেন বেবেক ফমবাগনেকে, "আগের ম্যাচেও (মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে) একইভাবে গোল খেয়েছি। আজও গোল খেলাম তারই (বেবেক) জন্য। গোলটি না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতাম।"
গ্র"প পর্বের দুই খেলায় দু'টিতে ড্র হওয়ায় নাখোশ নন মোহামেডানের কোচ মানিক। বললেন, "ওই দু'দল যদি (মুক্তিযোদ্ধা ও রাসেল) ৩-৩ গোলে ড্র করে তাইলেই কেবল ছিটকে পড়বো আমরা। তবে ৩-৩ গোলে ড্র হবে বলে মনে হচ্ছে না।"
"সমঝোতার খেলা হলে অবশ্য হতেও পারে," হাসতে হাসতে কথা শেষ করলেন মানিক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/টিএ/টিআর/২৩০৬ ঘ.